দীর্ঘ ক্ষণ ফিল্ডিং করার পর চোট পেলেন শ্রেয়স। একদিনের সিরিজ় এবং আইপিএলে তিনি অনিশ্চিত। ছবি: পিটিআই
ভারতীয় দলে আচমকাই শ্রেয়স আয়ারকে অনিশ্চয়তা তৈরি হল। রবিবার টেস্টের চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নামলেন না এই ব্যাটার। শুধু তাই নয়, একদিনের সিরিজ় থেকেও তিনি ছিটকে যেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। জল্পনা শুরু হয়েছে আইপিএলে খেলা নিয়েও। সব মিলিয়ে, শ্রেয়সের পুরনো চোট ফিরে আসায় আবার কাঠগড়ায় জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি (এনসিএ)।
ভারতীয় দল সূত্রে খবর, কোমরে প্রচণ্ড যন্ত্রণা হচ্ছে শ্রেয়সের। তাই তিনি ব্যাট করতে নামেননি। বোর্ডের মেডিক্যাল আপডেটে জানানো হয়েছে, শ্রেয়সের পিঠের স্ক্যান করা হয়েছে এবং চিকিৎসক দল তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে। শুধু টেস্ট নয়, একদিনের বিশ্বকাপ দলেও গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে চলেছেন শ্রেয়স। সে কারণেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একদিনের দলে তাঁকে রাখা হয়েছে। আইপিএলে কেকেআরের নেতাও তিনি।
এনসিএ নিয়ে আরও এক বার প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। প্রথম টেস্টে চোটের কারণে শ্রেয়স খেলতে পারেননি। চতুর্থ টেস্টে আবার চোট পেলেন। তা হলে কি পুরো ফিট না হওয়া সত্ত্বেও শ্রেয়সকে খেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বোর্ডের প্রাক্তন এক নির্বাচক সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে ১৭০ ওভার ফিল্ডিং করার ধকলের কারণেই শ্রেয়সের পুরনো চোট আবার ফিরে এসেছে। তবে বুঝতে পারছি না টেস্ট দলে নেওয়ার আগে কেন ওকে একটাও ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচ খেলতে দেওয়া হল না?”
নাগপুরে খেলতে না পারলেও দিল্লি এবং ইনদওরে খেলেছেন শ্রেয়স। সেই দু’টি টেস্টে এতটা ধকল যায়নি। কিন্তু আমদাবাদে দীর্ঘ ক্ষণ ফিল্ডিং করতে হয়েছে তাঁকে। মাঝে কোনও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলানো হয়নি। ওই নির্বাচক বলেছেন, “তখন ইরানি কাপ চলছিল। একই রকম আবহাওয়ায় ওকে ইরানি কাপে খেলিয়ে দেখে নেওয়া যেত শরীর দিচ্ছে কি না।”