গৌতম গম্ভীর। ছবি: সমাজমাধ্যম।
সিডনি টেস্টের আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে গৌতম গম্ভীরের মন্তব্যে শুরু হল একাধিক জল্পনা। এক দিকে তিনি সাজঘরে মতবিরোধের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন, আবার কিছু ক্ষণ পরেই ঋষভ পন্থদের নাম না করে ধমক দিলেন। সাফ জানালেন, দলের প্রয়োজনে যেমন বলা হবে তেমনই খেলতে হবে। খেয়ালখুশি মতো শট খেললে চলবে না।
মেলবোর্নে হারের পর শোনা গিয়েছিল, সাজঘরে কিছু ক্রিকেটারকে ধমক দিয়েছেন গম্ভীর। তাঁদের নির্দেশ দিয়েছেন, ‘স্বাভাবিক খেলা’ ছেড়ে দলের প্রয়োজন অনুযায়ী খেলতে। এ দিন গম্ভীরকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাজঘরে মতবিরোধের প্রসঙ্গ উড়িয়ে দেন। বলেন, “ওগুলো তো স্রেফ প্রতিবেদন। কোনওটাই সত্যি নয়। ও সব প্রতিবেদনের উত্তর দেওয়ার দরকার আছে বলে মনে করি না। কিছু সত্যি কথার আদানপ্রদান অবশ্যই হয়েছে (দেয়ার আর সাম অনেস্ট ওয়ার্ডস অল আই ক্যান সে)। সততা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যদি আপনি উঁচুতে উঠতে চান।”
সাজঘরের কথা যে প্রকাশ্যে বলতে চান না, সেই ইঙ্গিত করে গম্ভীর বলেছেন, “দল সবার আগে। ক্রিকেট দলগত খেলা এটা সবাইকে বুঝতে হবে। ক্রিকেটার এবং কোচের মধ্যে আলোচনা তাঁদের মধ্যেই থাকা উচিত। সাজঘরে যে কথাবার্তা হয়েছে সেটা ওখানেই থাক।”
তবে এর পরে গম্ভীর যে সব কথা বলেছেন, তাতে স্পষ্ট বার্তা রয়েছে ঋষভ পন্থের মতো খারাপ শট খেলে আউট হওয়া ক্রিকেটারদের জন্য। ভারতের কোচ বলেছেন, “আমাদের দলের একটাই লক্ষ্য, একটাই আলোচনা, তা হল দল সবার আগে। এই ভাবনা সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই। দলগত খেলা বলেই দল যে ভাবে চাইবে সে ভাবে খেলতে হবে। ক্রিকেটারেরা নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারে। তবে সেখানেও দলের কথা মাথায় রাখতে হবে। দলগত খেলায় একজন সদস্য স্রেফ অবদান রাখতে পারে।”
গম্ভীর আরও বলেছেন, “দলের প্রত্যেকে জানে তাদের কোন কোন বিষয়ে কাজ করতে হবে। আমি এখানে নির্দিষ্ট কারও নাম নিতে চাই না। তবে আমরা দল হিসাবে হারি। দল হিসাবে জিতি। যখন আপনি ভারতের হয়ে খেলছেন তখন নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য তৈরি থাকতে হবে। দুর্ভাগ্যবশত সকলেই ফলাফল নিয়ে বেশি চিন্তা করে।”
গম্ভীর জানিয়েছেন, সিডনিতে জেতার ব্যাপারে তারা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। তাঁর কথায়, “আমাদের সেই দক্ষতা, আত্মবিশ্বাস এবং দলে সে রকম ক্রিকেটার রয়েছে। শুধু এখানে নয়, ভবিষ্যতে আমাদের আরও অবিশ্বাস্য সব কাজ করতে দেখবেন।”