রোহিত শর্মা (বাঁ দিকে) এবং বিরাট কোহলি। — ফাইল চিত্র।
সিডনি টেস্টের প্রথম একাদশে যে রোহিত শর্মার জায়গা নিশ্চিত নয়, এই ইঙ্গিত বৃহস্পতিবারই দিয়েছেন গৌতম গম্ভীর। তবে ভারতের কোচ আরও কিছু কথা বলেছেন, যাতে মনে হয়েছে টেস্ট দলে বিরাট কোহলিরও দিন ফুরিয়ে আসছে। ভারতীয় ক্রিকেটে পালাবদলের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন গম্ভীর।
চলতি টেস্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ ম্যাচ সিডনিতে খেলতে নামবে ভারত। পরের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে ভারতের ম্যাচ জুন মাসে। তত দিনে রোহিত ৩৮ পেরিয়ে ৩৯-এ পা দেবেন। কোহলির বয়স হবে ৩৬। পরের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে দু’জনেরই পুরো মেয়াদ খেলা কঠিন। তাই তাঁদের ছাড়াই ভারতীয় দলের কথা ভাবা শুরু হয়ে গিয়েছে বলে খবর।
এ দিন গম্ভীর বলেছেন, “একটা কথা পরিষ্কার করে দিতে চাই, যত দিন সাজঘরে সৎ মানুষেরা রয়েছে তত দিন ভারতীয় ক্রিকেট নিরাপদ হাতে থাকবে। যে কোনও পালাবদলের ক্ষেত্রেই সততা গুরুত্বপূর্ণ। সিনিয়রদের বিদায় জানিয়ে তরুণদের দলে আনার মধ্যেই বিষয়টা আটকে নেই। কী ভাবে পারফরম্যান্স দিয়ে সাজঘর ঐক্যবদ্ধ রাখতে হয় সেটাও দেখতে হবে।”
গম্ভীর নিজেই পালাবদলের সাক্ষী থেকেছেন। তিনি এমন সময় ক্রিকেট খেলেছেন যখন ধীরে ধীরে বিদায় নিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রাহুল দ্রাবিড় এবং সচিন তেন্ডুলকরের মতো ক্রিকেটার। তাই গম্ভীরের মতে, পালাবদল সবাইকে নিয়েই করতে হবে। কেউ একা এই কাজ করতে পারে না।
ভারতের কোচ বলেছেন, “শুধু সাপোর্ট স্টাফ নয়, সাংবাদিকদেরও পালাবদলে ভূমিকা নিতে হবে। শুধু সমালোচনা করলে চলবে না। কী ভাবে তারা সমস্যা থেকে বেরোবে সেটাও দেখতে হবে। পালাবদল শুধু আমাদের নয়, গোটা দেশের হয়। ভারতীয় ক্রিকেট একটা উত্তেজক সময়ের সামনে দাঁড়িয়ে।”
কেন উত্তেজক সেই ব্যাখ্যা দিয়ে গম্ভীর বলেছেন, “আগে পালাবদল হওয়ার সময় যে কোনও একটা বিভাগ দলকে এগিয়ে নিয়ে যেত। এখন খেয়াল করে দেখবেন, দুটো বিভাগেই সেটা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। কিছু তরুণ জোরে বোলার দলে এসেছে। ব্যাটারেরা এসেছে এবং ভাল খেলেছে। যশস্বী জয়সওয়াল, নীতীশ রেড্ডি বা ওয়াশিংটন সুন্দরকে দেখুন। তা হলেই বুঝবেন। আকাশ দীপও ভাল খেলেছে।”