রাজশ্রী নামে ওই মহিলা ক্রিকেটার আত্মহত্যা করেছেন বলে অনুমান পুলিশের। ছবি সংগৃহীত।
গভীর জঙ্গলে গাছ থেকে এক মহিলা ক্রিকেটারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য দানা বাঁধল ওড়িশায়। শুক্রবার কটক জেলার আঠাগড়ের কাছে একটি জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দেহ। মৃত ক্রিকেটারের নাম রাজশ্রী সোয়েইন (২২)। গত ৩ দিন ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, পুরী জেলার বাসিন্দা রাজশ্রী। গত ১১ জানুয়ারি থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ক্রিকেট প্রশিক্ষক শিবিরে যোগ দিতে কটকে গিয়েছিলেন রাজশ্রী। সেখানে প্যালেস হোটেলে থাকছিলেন তিনি। ভাল ক্রিকেটার হওয়া সত্ত্বেও ১০ দিনের বাছাই পর্বে তাঁকে ইচ্ছাকৃত ভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে রাজশ্রীর পরিবার। এ নিয়ে রাজশ্রী হতাশ ছিলেন বলে দাবি তাঁর পরিবারের সদস্যদের।
ওড়িশার সংবাদমাধ্যমে রাজশ্রীর বোন বলেছেন, ‘‘কাঁদতে কাঁদতে ও (রাজশ্রী) আমায় ফোন করেছিল। বলেছিল, ওকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ওকে শান্ত করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ফোন কেটে দিয়েছিল। এর পর মাকে জানাই। কিন্তু তার পর থেকে ওর ফোন বন্ধ ছিল।’’
রাজশ্রীর মায়ের অভিযোগ, তাঁর কন্যা নিখোঁজ হওয়া সত্ত্বেও ওই ক্রিকেট প্রশিক্ষক শিবিরের আয়োজকরা তাঁকে কিছু জানাননি। যখন রাজশ্রীর মা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন, তখন নিখোঁজ হওয়ার কথা জানান তাঁরা। ১১ জানুয়ারি রাতে হোটেলে রাজশ্রী ফেরেন বলে জানান আয়োজকরা।
এর পরই মঙ্গলাবাগ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করে ওড়িশা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। পুলিশ সূত্রে খবর, আঠাগড় এলাকার কাছে ওই জঙ্গলের কাছে ফোন বন্ধ করেছিলেন রাজশ্রী। ক্রিকেটারের মোবাইল নেটওয়ার্কের শেষ লোকশনের সূত্র ধরে ওই জঙ্গলে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। পরে একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁর দেহ। রাজশ্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে পুলিশ। তবে এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।