সম্প্রতি অর্চনা নাগের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। ফাইল চিত্র।
অর্চনা নাগের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে। সম্প্রতি অর্চনার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ওড়িশার এক রাজনীতিক অর্চনার ফাঁদে পড়েছিলেন। তিনি পেশায় ব্যবসায়ীও। শুক্রবার এই খবর প্রকাশ্যে এসেছে।
কে এই রাজনীতিক? এ নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে ওড়িশার রাজ্য রাজনীতিতে। সম্প্রতি ভুবনেশ্বরে জেলা ও দায়রা আদালতে অর্চনা ও তাঁর স্বামী জগবন্ধু চাঁদের বিরুদ্ধে ২ হাজার ২৪১ পাতার চার্জশিট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চার্জশিটে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। যার মধ্যে ওই রাজনীতিকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। নয়াগড়ের ওই রাজনৈতিক নেতাকে অর্চনা ব্ল্যাকমেল করেছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে। তবে ওই রাজনৈতিক নেতা কোন দলের তা জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, প্রভাবশালীদের সঙ্গে ভাব জমিয়ে তাঁদের যৌনতার ফাঁদে ফেলতেন বলে অভিযোগ উঠেছে অর্চনার বিরুদ্ধে। এর পর তাঁদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিয়ো তুলে তা ফাঁস করার ভয় দেখিয়ে অর্চনা লক্ষ লক্ষ টাকা হাতাতেন বলে অভিযোগ। এই প্রভাবশালীদের তালিকায় ওড়িশার রাজনৈতিক নেতারা রয়েছেন বলে আগেই খবর ছড়িয়েছিল।
এই প্রসঙ্গে নয়াগড়ের কংগ্রেস সভাপতি রঞ্জিত দাস বলেছেন, ‘‘অর্চনার ফাঁদে পড়ে নয়াগড়ের যে রাজনৈতিক নেতা প্রতারিত হয়েছেন, তাঁর নাম প্রকাশ করুক ইডি। মানুষের জানা উচিত, কে নয়াগড়ের বদনাম করেছেন।’’ বিজেপি কিষান মোর্চার সম্পাদক সন্তোষ প্রধান বলেছেন, ‘‘কোনও দেরি না করে ওই নেতার নাম প্রকাশ করা হোক।’’ ছবির প্রযোজক অক্ষয় পারিজাকেও অর্চনা ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়েছিলেন বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। সহযোগী শ্রদ্ধাঞ্জলির সাহায্যে ওই প্রযোজককে অর্চনা ব্ল্যাকমেল করেছিলেন বলে দাবি। অর্চনার ৩.৪০ কোটি টাকার বিলাসবহুল বাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর।