প্রতীকী চিত্র
ইক্যুইটি বা শেয়ারের সঙ্গে সিকিউরিটিজের ফারাক
আপনি যখন শেয়ার কেনেন তখন আপনি সেই সংস্থার মালিক, অংশীদারিত্বের অংশ যতই কম হোক না কেন। আর আপনি যখন সিকিউরিটিজ কেনেন তখন কিন্তু আপনি কাউকে টাকা ধার দিচ্ছেন।
ফিক্সড ইনকাম সিকিউরিটিজ কী?
এই জাতীয় বিনিয়োগে আপনি পূর্বনির্ধারিত হারে সুদের ভিত্তিতে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট টাকা পাবেন। যেহেতু আয়ের অঙ্কটি নির্দিষ্ট, তাই একে ফিক্সড ইনকাম সিকিউরিটিজ বলা হয়।
ফিক্সড ইনকাম সিকিউরিটিজের মধ্যে কী কী পড়ে?
ট্রেজারি বিল সহ নানান সরকারি ঋণপত্র, বিভিন্ন বেসরকারি ঋণপত্র, কমার্শিয়াল পেপারস ইত্যাদি থেকে আপনি যখন পূর্বনির্ধারিত হারে সুদ পান তখন সেই সব ঋণপত্রকে ফিক্সড ইনকাম সিকিউরিটিজ বলা হয়।
অন্য রকম ঋণপত্রও আছে না কি?
হ্যাঁ। সব ঋণপত্রের সুদই পূর্বনির্ধারিত থাকে না। অনেক ঋণপত্রের সুদই বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ওঠা-নামা করে।
ফিক্সড ম্যাচিওরিটি সিকিউরিটিজের বিশেষত্ব কী?
এই ঋণপত্রে বিনিয়োগ করা হয় একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। অনেকটা ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিটের মতো। তবে এখানে রিনিউ করার সুযোগ থাকে না। তাই অন্য কোথাও বিনিয়োগ করতে হয়। এই কারণেই, এই বিনিয়োগের রাস্তায় হাঁটতে গেলে মিউচুয়াল ফান্ডকে বেছে নেওয়াই ভাল। সেই ফান্ড যা ফিক্সড ম্যাচিওরিটি সিকিওরিটিজে আপনার-আমার টাকা বিনিয়োগ করে থাকে। আর তা ছাড়া ঋণপত্রের বাজারের একটা বড় অংশই আমার-আপনার ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। তাই মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে বিনিয়োগই ভাল।
নির্দিষ্ট সময়ে ম্যাচিওর করে বলে এই জাতীয় ঋণপত্র তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিরও। এটা তো আসলে ধার দিয়ে সুদের টাকায় বাঁচা। আর ধার শোধের সময় যত বড় হয়, ততই ফেরত পাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
ইল্ড কাকে বলে?
এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন আছে। বন্ড নিয়ে বিশদে আলোচনাতেই এটা দেখে নেব আমরা। আপাতত সহজ করে বুঝতে গেলে ঋণপত্রের সুদকেই ইল্ড বলা হয়।