ফিটনেসেও সমান তালে পাল্লা দিতে পারেন অন্যদের। ছবি: সংগৃহীত
কখনও নিরাবরণ, কখনও ব্লেড দিয়ে তৈরি পোশাক— সাজ দিয়েই নজর কাড়তে জানেন উরফি জাভেদ। বলিপাড়ার একেবার প্রথম সারির অভিনেত্রী নন। টেলিভিশনেরও পরিচিত মুখ বলা যায় না তাঁকে। তবু উরফিকে কেন্দ্র করে নেটমাধ্যমে যে পরিমাণ বিতর্ক, উন্মাদনার ঝড় ওঠে, তা অনেকের কাছেই ঈর্ষণীয়। বিশেষ করে তাঁর পোশাকপরিচ্ছদ সব সময়েই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। উরফি প্রকাশ্যে এলেন মানেই একটা তুফান উঠবে। কখনও তাঁর মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছে। আবার কখনও শুধু মাথার চুল দিয়েই বক্ষদেশ ঢেকে ছবি তুলে হইচই ফেলেছেন। কিছু দিন আগেই সেফটিপিন দিয়ে তৈরি পোশাক পরে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। তবে শুধু বেশভূষা নয়, নজরকাড়ে উরফির ফিটনেসও। সাহসী পোশাক কিংবা শরীরে লেপ্টে থাকা স্বচ্ছ শিফন শাড়ি— সবেতেই সমান আকর্ষণীয় উরফি। শরীরের কোথাও কোনও মেদ জমতে দেননি। ফিটনেসেও সমান তালে পাল্লা দিতে পারেন অন্যদের। নিজেকে ফিট রাখতে কী কী নিয়ম মেনে চলেন উরফি?
শরীরের কোথাও কোনও মেদ জমতে দেননি। ছবি: সংগৃহীত
নিয়ম করে শরীরচর্চা
ধারাবাহিক ভাবে শরীরচর্চা না করলে এমন মেদহীন চেহারা পাওয়া সম্ভব নয়। উরফি সব সময়ে জিমে যেতে পছন্দ করেন না। তাই বাড়িতেই তৈরি করে নিয়েছেন জিমের পরিবেশ। তবে নির্দিষ্ট কোনও ফিটনেস রুটিন তাঁর নেই। সারা দিনে যখন সময় পান, তখনই শরীরচর্চা করে নেন। সারা দিনে কাজ থাকলে মাঝরাত পর্যন্ত ব্যায়াম করেন তিনি। তবে শুটিং বা অন্য কোনও কাজ না থাকলে, সকালে উঠে যোগাসন, ব্যায়াম করেন। জিম করা ছাড়াও হাঁটাহাঁটি, দৌড়ানো, সাঁতার কাটাও থাকে উরফির রোজের ফিটনেসে রুটিনে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
নিজেকে ফিট রাখতে ধারাবাহিক ভাবে শরীরচর্চা করার পাশাপাশি রোজের খাওয়াদাওয়াতেও সমান নজর উরফির। অভিনেত্রীর সকাল শুরু হয় লেবু এবং মধুর জল খেয়ে। তার পর ডিম সিদ্ধ এবং মরসুমি বিভিন্ন ফল দিয়ে সকালের খাবার সারেন উরফি। সকালের পাতে কখনও কখনও থাকে ওটমিলও। মিল্কশেক খেতেও ভালবাসেন উরফি। শুটিংয়ে গেলে উরফির সঙ্গে সব সময়ে বিভিন্ন ধরনের শেক থাকে।
দুপুরের খাবার
দুপুরে একটু ভারী খাবার খেতে পছন্দ করেন উরফি। শুটিং কিংবা বাড়ি, উরফি যেখানেই থাকুন তাঁর পাতে থাকে সেদ্ধ শাকসব্জি, মাছ, স্যালাড। ভাত বা রুটি উরফির রোজের খাদ্যতালিকায় থাকে না। কড়া ডায়েটে থাকেন। বিরিয়ানির প্রতি উরফির আলাদাই প্রেম। সুযোগ পেলেই বিরিয়ানি, মোগলাই খানার স্বাদ নেন এই মডেল-অভিনেত্রী।
রাতের খাবার
খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে বেশ নিয়ম মেনে চলেন তিনি। সকাল এবং দুপুরে ভারী কোনও খাবার খেলেও, রাতে একেবারে অল্প খাবার মুখে তোলেন। কোনও দিন হয়তো চিকেন স্যুপ খেলেন। আবার কখনও তাঁর পাতে থাকে শুধু বেকড ফিশ এবং বিভিন্ন ধরনের সব্জি। টক দই খেতে ভালবাসেন। রোজ রাতে এক চামচ টক দই না খেলে নাকি ঘুম আসতেই চায় না। শরীর সুস্থ রাখতে তো বটেই, ত্বকের যত্ন নিতেও আরও বেশি করে টক দই খান তিনি।