খাদ্যাভ্যাসের উপরও নির্ভর করে মাইগ্রেনের ব্যথা কতটা জ্বালাবে। ছবি: সংগৃহীত
ছুটির দিনে দুপুরের খাওয়া সেরে আয়েশ করে সিনেমা দেখতে বসলেন। হঠাৎ মাথার মধ্যে দপদপ করে উঠল। সেই সঙ্গে শুরু হল প্রবল মাথাব্যথা। অগত্যা পছন্দের সিনেমা দেখা ছেড়ে উঠে পড়ত হল। অফিসে কাজ করছেন। হঠাৎ মাথায় ব্যথা শুরু হল। কিছুতেই আর ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারছেন না। কপালের এক পাশে টনটন করেই চলেছে। মাঝেমাঝে এমন মাথা যন্ত্রণায় ভুগে থাকেন অনেকেই। ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে প্রাথমিক ভাবে তা কমেও যায়। বার বার এই ধরনের ওষুধ খাওয়া শরীরের পক্ষে ঠিক নয় বলেই মত চিকিৎসকদের।
মাথা যন্ত্রণার বিভিন্ন কারণ থাকে। একটানা টিভি দেখার কারণে বা গ্যাস-অম্বলের জন্যও অনেক সময়ে ব্যথা করে। তা ছাড়া, অত্যধিক কায়িক পরিশ্রম, সারা ক্ষণ কম্পিউটারের পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকা, কোনও কারণে মানসিক চাপ— এমন কিছু কারণেও মাথাব্যথা হতে পারে। মাথা যন্ত্রণার আরও একটি কারণ হল মাইগ্রেন। এক বার মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হলে সহজে কমতে চায় না। খুব ঠান্ডা কিছু খেয়ে ফেললে যেমন মাথা ধরতে পারে, তেমনই অনেক ক্ষণ না খেয়ে থাকলেও খেয়াল করে দেখবেন, মাথা ধরে আসে। তাই খাদ্যাভ্যাসের উপরও নির্ভর করে মাইগ্রেনের ব্যথা কতটা জ্বালাবে।
মাথা যন্ত্রণার বিভিন্ন কারণ থাকে। ছবি: সংগৃহীত
কোন খাবারগুলি নিয়মিত খেলে দূরে থাকবে মাইগ্রেনের ব্যথা?
কলা
অনেক সময়ে খালি পেটে থাকলে ‘হাইপোগ্লাইসেমিয়া’-র সমস্যা দেখা দিতে পারে। (রক্তে শর্করা মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যাওয়া)। এর ফলে মাথা যন্ত্রণা হতে পারে। সেটাই মাইগ্রেনের ব্যথায় পরিণত হতে পারে। তাই পেট দীর্ঘ ক্ষণ ভরতি রাখতে ভরসা রাখতে পারেন কলার উপরে। ম্যাগনেশিয়ামে ভরপুর এই ফল খেলে ভিতর থেকে শক্তি পাবেন এবং মাইগ্রেনের ব্যথাও কমে যাবে।
তরমুজ
জল বেশি খেলে মাইগ্রেনের সমস্যা অনেকটা কমে, এটা অনেকেরই জানা। তবে শরীর আর্দ্র রাখতে শুধু জল খাওয়াই যথেষ্ট নয়। সঙ্গে এমন খাবার খেতে হবে যাতে জলের পরিমাণ বেশি। তরমুজে ৯২ শতাংশ জল থাকে। সুস্থ থাকতে তাই রোজের পাতে অনায়াসে রাখতে পারেন তরমুজ।
ভেষজ চা
শরীর আর্দ্র রাখতে ভেষজ চা খেতেই পারেন। তাতে মাথা ধরার আশঙ্কা কমে। তা ছাড়াও ‘ইন্টারন্যাশন্যাল জার্নাল অফ প্রিভেন্টিভ মেডিসিন’ শীর্ষক একটি গবেষণাপত্রে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, পিপারমিন্ট-টি খাওয়া সাইনাসের জন্য উপকারী। তাই মাথা ধরার প্রবণতা কমাতে পিপারমিন্ট-টি খাওয়া শুরু করতে পারেন।
মাশরুম
অনেক সময়ে হজমের গোলমাল বা পেটের অন্য সমস্যা থেকে মাথা ধরতে পারে। সেটাই বেড়ে মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে। তাই মাশরুম, ডিম বা বাদামের মতো খাবার, যাতে প্রচুর পরিমাণে রাইবোফ্ল্যাবিন রয়েছে, তেমন কিছু রোজের খাদ্যতালিকায় রাখুন। এগুলি হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে। খাবার সময় মতো হজম হলে মাথা ধরার সমস্যাও কমে যাবে।