সার্বিয়ার ছোট্ট একটি গ্রামে অনাথ কুকুরদের জন্য আশ্রয় শিবির চালান ৭১ বছর বয়সি গোরিকা। —ফাইল চিত্র
নাম গোরিকা অ্যাঞ্জেলকোভস্কা। ৭১ বছর বয়সি গোরিকা ১৬২টি কুকুরের কাছে সত্যিই ‘অ্যাঞ্জেল’। সার্বিয়ার ছোট্ট একটি গ্রামে অনাথ কুকুরদের জন্য আশ্রয় শিবির চালান তিনি। নিজে যে পেনশন পান, সেই টাকা দিয়েই এতগুলি কুকুরের দেখভাল করেন তিনি। কিন্তু বয়সের ভারে সেই কাজ ক্রমশই কঠিন হয়ে উঠছে। শীতও প্রায় এসে গিয়েছে। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় কী ভাবে এই কুকুরগুলির পরিচর্যা করবেন, ভেবে পাচ্ছেন না বৃদ্ধা। তাঁর আশঙ্কা প্রবল ঠান্ডায় মরে যাবে অধিকাংশ কুকুরই।
প্রায় পঁয়তাল্লিশ বছর অস্ট্রেলিয়াতে ছিলেন গোরিকা। ২০১৬ সালে দেশে ফেরেন তিনি। বাড়ি ফিরে আশপাশের অঞ্চলে পথকুকুরদের দুর্দশা দেখে চমকে যান। নিজের সব সম্পত্তি বিক্রি করে, সার্বিয়ার রাজেভেক অঞ্চলে অনাথ কুকুরের জন্য আশ্রয়শালা খোলেন তিনি। ২০১৯ সাল থেকে একাই সেই আশ্রয়শালা চালাচ্ছেন গোরিকা। কুকুরগুলিকে নিজের সন্তানের মতোই স্নেহ করেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমে গোরিকা জানিয়েছেন, গত বছর শীতকালে বরফের উপর পড়ে যান তিনি। ভেঙে যায় পা। তার পর থেকে আরও কঠিন হয়ে গিয়েছে হাঁটাচলা। ফলে গোটা আশ্রয়শিবির পরিষ্কার করা ও এতগুলি কুকুরকে খাবার খাওয়ানো তাঁর পক্ষে খুবই কঠিন হয়ে গিয়েছে। তার উপর, শীতকালে বরফ পড়ে পিচ্ছিল হয়ে যায় মাটি। আরও বাড়ে বিড়ম্বনা। ১ জন কর্মী রাখতে মাসে অন্তত আটশো পঞ্চাশ পাউন্ড খরচ। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় বিরাশি হাজার টাকার মতো। সেই খরচ কোথা থেকে আসবে তা বুঝে উঠতে পারছেন না বৃদ্ধা। তাঁর আশঙ্কা, শীতকালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে কুকুরগুলিকে যত্ন করার কেউ থাকবে না। ঠান্ডায় মারা পড়বে অধিকাংশ কুকুর। শতাধিক সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাই চিন্তার শেষ নেই তাঁর।