সংসার ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে সংসার করবেন বলে ব্রিটেনের বাসিন্দা জোয়ানা ছুটে আসেন মিশরে। —ফাইল চিত্র
২০১৮ সালে স্বামীর সঙ্গে মিশরে ঘুরতে গিয়েছিলেন ব্রিটেনের বাসিন্দা জোয়ানা গার্লিং। তখন তাঁর বয়স ৪৩। ঘুরতে ঘুরতে হাসান খালিদ নামের বছর ২০-র এক মিশরীয় যুবকের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। প্রেমে পড়ে যান। সেই তরুণের প্রেমে মাতোয়ারা হয়ে স্বামীর সঙ্গে ‘প্রতারণা’ শুরু করেন জোয়ানা। ভ্রমণের মাঝেই স্বামী যখন ঘুমিয়ে পড়তেন, তখন হাসানের টানে তিনি মধ্যরাতে পৌঁছে যেতেন তাঁর কাছে।
ব্রিটেনে ফিরে যাওয়ার পরেও টান কমেনি। সংসার ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে সংসার করবেন বলে জোয়ানা ছুটে আসেন মিশরে। কিন্তু মাস দুয়েক পরই ফুরিয়ে আসে টাকা। ভেবেছিলেন, আশ্রয় দেবেন প্রেমিক। কিন্তু ঘর করতে রাজি হননি পেশায় হোটেলকর্মী হাসান। উল্টে জোয়ানাকে কটূক্তি করেন তিনি। ফিরে যেতে বলেন দেশে।
যাঁর টানে দেশ ছাড়লেন, সাজানো সংসার ছাড়লেন, তাঁর কাছেই এমন ব্যবহার পেয়ে ভেঙে পড়েন জোয়ানা। যখন কী করবেন, কোথায় যাবেন ভেবে পাচ্ছেন না, তখনই আলাপ হয় আর এক মিশরীয় যুবক হাইসম ফাইগোর সঙ্গে। তিনিও বয়সে প্রায় ৮ বছরের ছোট। মিশরে একটি খাবারের মশলার দোকান চালান। ওই দোকানের সামনে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন জোয়ানা। তখনই আলাপ। ক্রমেই একে অপরের প্রেমে পড়ে যান দু’জন। দেশে ফিরে আসলেও যোগাযোগ বন্ধ হয়নি। একাধিকবার মিশরে ফিরে গিয়েছেন জোয়ানা। আগের প্রেমিকের মতো খারাপ ব্যবহার করেননি হাইসম। বরং দিনরাত ভালবেসে গিয়েছেন, দাবি জোয়ানার।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে জোয়ানা জানান, তাঁর প্রণয়ের কথা প্রকাশ্যে আসতেই পরিবারের আর কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি। কিন্তু এই কঠিন সময়েও পাশে থেকেছেন মিশরীয় প্রেমিক। দু’জনে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সন্তান নেবেন। পাশাপাশি আগামী বছরের জানুয়ারিতে সেরে ফেলবেন বিয়েটাও। যে মিশরে গিয়ে জীবন তছনছ হতে বসেছিল, সেই মিশরেই মনের মানুষ পেয়েছেন, তাই মিশরের রাজধানী কায়রোতেই আইনত বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জোয়ানা।