অনেক সময় মূত্রনালিতে জমে থাকা মূত্র বেরিয়ে আসে। —ফাইল চিত্র
মূত্র ত্যাগ করার পরেও অনেক সময় কয়েক ফোঁটা প্রস্রাব দেহের বাইরে নির্গত হয়। বিষয়টি কিন্তু খুব একটা বিরল কিংবা অস্বাভাবিক নয়। অনেক সময় মূত্রনালিতে জমে থাকা মূত্রই বেরিয়ে আসে। বয়স ও স্বাস্থ্য নির্বিশেষে বহু পুরুষই এই ঘটনার সম্মুখীন হন। বিষয়টিকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয়, ‘ইউরিনারি ড্রিবল’ বা ‘টার্মিনাল ড্রিপিং’।
কেন এমন হয়?
অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিষয়টি খুব একটা চিন্তার নয়। কিন্তু কিছু কিছু সময় এটি বিপদের সঙ্কেত হতে পারে। মূত্রনালি সরু হয়ে গেলে অনেক সময় এই ঘটনা ঘটতে পারে। অনেক সময় নালিতে জমে থাকা তরল নির্গত হতে পারে না বলেই এমন হয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে প্রস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে গেলেও এমন সমস্যা হতে পারে।
অনেক সময় প্রস্রাব সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও অনিয়ন্ত্রিত ভাবে কিছুটা মূত্র বেরিয়ে আসে। এই বিষয়টি টার্মিনাল ড্রিপিং-এর তুলনায় আলাদা। একে বলে ‘পোস্ট মিকচুরিশন ড্রিবলিং’ বা ‘পিএমডি’। পুরুষের মূত্রথলি থেকে শিশ্নমুখ পর্যন্ত যে নালি থাকে তাকে ইউরেথ্রা বলে। এই রোগে সেই ইউরেথ্রার মধ্যে কিছু পরিমাণ মূত্র জমা হয়ে থাকে। প্রস্রাবের শেষে সেই মূত্রই বার হয়ে আসে ও ফোঁটা ফোঁটা করে পড়তে থাকে।
এই সমস্যা দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বাঞ্ছনীয়। —ফাইল চিত্র
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পেতে থাকে সমস্যা। মূত্রত্যাগের সময় কিছু পেশির সুসংহত সঙ্কোচন ও প্রসারণের ফলে মূত্র দেহের বাইরে নির্গত হয়। স্নায়বিক নিয়ন্ত্রণ কমে এলে কিংবা পেশিগুলি দুর্বল হয়ে গেলেও এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু সাধারণ মানুষের পক্ষে কখন সাধারণ ভাবে বিন্দু বিন্দু মূত্র নির্গত হচ্ছে আর কখন প্রস্টেট ও স্নায়ু বা পেশির সমস্যা থেকে এমন হচ্ছে, তা বুঝে ওঠা কার্যত অসম্ভব। তাই এই সমস্যা দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বাঞ্ছনীয়।