নিরামিষ খিচুড়ি। ফাইল চিত্র।
আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় এখন বেশ কিছু দিন ভাল বৃষ্টি হচ্ছে না। বর্ষার দিনে সকাল থেকেই উঠে মন ভাল হয়ে যায় মেঘলা আকাশ আর বৃষ্টি দেখলে। টানা বৃষ্টিতে দুপুরের খাবার বলতেই মন চলে যায় খিচুড়ির দিকে। সত্যিই বর্ষা আর খিচুড়ি এই দুটোকে আলাদা করা বেজায় মুশকিল। সঙ্গে বেগুনি আর ইলিশমাছ ভাজা থাকলে তো কথাই নেই! তাই এখানে রইল বর্ষাকালে বাড়িতেই বানাতে পারেন এ রকম নিরামিষ ও আমিষ খিচুড়ির পদ।
নিরামিষ খিচুড়ি
উপকরণ:
গোবিন্দভোগ চাল: ৫০০ গ্রাম
মুগ ডাল: ৫০০ গ্রাম
আলু: ৩টি (টুকরো করা)
কুমড়ো: ১/২ কাপ
কড়াইশুঁটি: ১/২ কাপ
আদা-লঙ্কা বাটা: ১ টেবিল চামচ
জিরে বাটা: ১/২ টেবিল চামচ
গরম মশলাগুঁড়ো: ১ চা চামচ
গোটা গরমমশলা: ১ চা চামচ
তেজপাতা: ২ টি
শুকনো লঙ্কা: ২টি
নারকেল কোরা: ১/২ কাপ
তেল: ২ টেবিল চামচ
ঘি: ২ টেবিল চামচ
নুন স্বাদমতো
চিনি: ১ টেবিল চামচ
হলুদ গুঁড়ো: ১/২ চা চামচ
কাঁচা লঙ্কা: ৪-৫টি
প্রণালী:
কড়াই গরম করে শুকনো খোলায় ডালটা হালকা করে ভেজে নিন। তার পর নামিয়ে আলাদা করে রেখে দিন। অন্য দিকে চাল ভাল করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। এবার কড়াইতে তেল ও ঘি দিন। তেল-ঘি গরম হলে তাতে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, গোটা জিরে ও গোটা গরম মশলা দিন। এবার চালটা দিয়ে হালকা করে ভাজতে থাকুন। কিছুক্ষণ নাড়ার পর একটু মিশে এলে ডাল দিয়ে ভাজুন। এবার আদা-লঙ্কাবাটা, জিরেবাটা, হলুদ, নুন ও কাঁচা লঙ্কা দিয়ে নাড়তে থাকুন। এরপর সামান্য গরম জল দিন। অন্য একটি কড়াইতে তেল দিয়ে টুকরো করে কেটে রাখা আলু ও সব্জিগুলো ভেজে নিন। এবার চাল ও ডাল একটু সিদ্ধ হয়ে গেলেই তাতে আলু ও সব্জি মিশিয়ে নাড়তে থাকুন। তারপর চিনি ও নারকেল কোরা উপর থেকে ছড়িয়ে দিন। সিদ্ধ হয়ে গেলে আঁচ বন্ধ করুন ও উপরে গরম মশলা, ঘি ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
আমিষ খিচুড়ি। ফাইল চিত্র
চিকেন খিচুড়ি
উপকরণ:
মুরগির মাংস: ৪০০ গ্রাম (ছোট ছোট টুকরো করা)
গোবিন্দভোগ চাল: ৫০০ গ্রাম
মুগ ডাল: ২৫০ গ্রাম
মুসুর ডাল: ২৫০ গ্রাম
পেঁয়াজকুচি: ১ কাপ
রসুনকুচি: ১/২ টেবিল চামচ
আদা-লঙ্কা কুচি: ১ টেবিল চামচ
টমেটো কুচি: ১/২ কাপ
গোটা গরম মশলা: ১ চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো: ১ চা চামচ
হলুদ গুঁড়ো: ১/২ চা চামচ
ঘি: ২ টেবিল চামচ
তেল: ২ টেবিল চামচ
নুন স্বাদমতো
প্রণালী:
প্রেশার কুকারে তেল গরম করে নিয়ে গোটা গরম মশলা দিন। এরপর পেঁয়াজকুচি, আদা-লঙ্কাকুচি, রসুনকুচি দিয়ে ভাজতে থাকুন। এরপর মাংসের টুকরোগুলো দিয়ে ভাল করে ভাজুন। খানিক ভাজা হয়ে গেলে তার মধ্যে টমেটোকুচি দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন। মাখোমাখো হয়ে এলে চাল ও ডাল মেশান। এরপর হলুদ, লঙ্কাগুঁড়ো সহ বাকি মশলাগুলো দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে গরম জল দিন। যদি এক কাপ চাল নেন, তাহলে দেড় কাপ জল দেবেন। সেই মতো কত কাপ চাল নিচ্ছেন, দেখে জল নিন। এবার প্রেশার কুকারে একটা সিটি দিন। হয়ে গেলে কুকার খুলে ঘি ও গরম মশলাগুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।