ঘরের ভোল বদলাতে চান? জেনে নিন অন্দরসজ্জার নয়া চল ছবি: সংগৃহীত।
দিনভর কাজকর্ম শেষে নিজের বাড়ি ফেরার মতো শান্তি আর কোথাও রয়েছে কি? সেই সাধের বাড়িটি নতুন করে সাজাতে চান? কিন্তু কী ভাবে সাজাবেন, ভেবেছেন কিছু? ইদানীং কিন্তু দেওয়াল জুড়ে চড়া রং বা পছন্দের যে কোনও আসবাব কিনে ঘরে রেখে দেওয়ার চল কমেছে। বরং সেই জায়গায় অন্দরসজ্জায় থাকছে পরিকল্পনার ছোঁয়া। জেনে নিন, কী ভাবে সাজিয়ে তুলতে পারেন আপনার শান্তির নীড়।
সবুজের ছোঁয়া
বিশ্ব উষ্ণায়ন, দূষণের জেরে আবহাওয়ায় বদল আসছে। প্রতি মুহূর্তে গাছ লাগানো, পরিবেশবান্ধব জিনিস ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছে দুনিয়া। তার শরিক হতে পারেন আপনিও। ঘর থেকে বারান্দা— সবুজের ছোঁয়ায় প্রাণ পেতে পারে আপনার স্বপ্নের ঘর। অন্দরসজ্জায় বসার ঘর থেকে স্নানঘর, পড়ার টেবিল, বারান্দা— সর্বত্রই মানানসই গাছ রাখা যায়। অনেক গাছের জন্য খুব বেশি পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না, অল্প জল-হাওয়াতেও দিব্যি ভাল থাকে তারা। জেড প্ল্যান্ট, মানি প্ল্যান্ট, স্পাইডার প্ল্যান্ট দিয়ে বাড়ির আনাচ-কানাচ সাজিয়ে তুলতে পারেন। বারান্দায় রঙিন ফুলের ছোঁয়া বাড়তি মাত্রা যোগ করবে। বারান্দায় ফুলের টব ঝুলিয়ে রাখলেও বাহারি দেখাবে।
রং বাছাই
ঘরের জন্য রং বাছাই খুব গুরুত্বপূর্ণ। রঙের প্যালেটে যেটি দেখতে ভাল লাগছে, সেটি দেওয়ালে লাগালেই যে ভাল লাগবে, এমন নয়। হালকা রঙের ব্যবহারে ঘরকে অনেক বেশি আলোকোজ্জ্বল মনে হয়। একটু হলুদের ছোঁয়া থাকলে বা আইভরি রং ব্যবহার করলে আলো বেশি মনে হবে। ‘সফ্ট বেজ’, ‘মিউটেড গ্রিন’, ‘টেরাকোটা’ রংগুলি আধুনিক গৃহসজ্জায় বেশি ব্যবহার হচ্ছে ইদানীং। তবে যদি নীল, হলুদ জাতীয় রং একান্তই ব্যবহার করতে হয়, দেখে নিন ঘরে প্রাকৃতিক আলোর উপস্থিতি কতটা।
ছিমছাম আসবাব
অন্দরসজ্জায় আসবাবের সঠিক ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘরে কতটা জায়গা পাওয়া যাবে, ঘর কতটা দেখতে ভাল লাগবে, তা অনেকাংশে নির্ভর করে সঠিক আসবাব বেছে নেওয়ার উপর। ঘর জোড়া জিনিসপত্র নয়, বরং কোন ধরনের আসবাব ব্যবহার করলে স্বল্প জায়গাতেও অনেক কিছু রাখা যাবে তা দেখে নেওয়ার দরকার। নকশা বা কারুকাজের বদলে ছিমছাম বা হালকা রঙের আসবাবই বর্তমানে ঘর সাজানোর ট্রেন্ড।
এক আসবাবে বহু কাজ
বাড়ি হোক বা ফ্ল্যাট, ইদানীং ঘরের পরিসর কমেছে। ফলে, এমন আসবাবপত্র বা চেয়ার-টেবিল বেছে নিতে হবে, যা প্রয়োজনে ভাঁজ করে তুলে দেওয়া যায় বা ছোট করে নেওয়া যায়। সোফা বাড়িয়ে শয্যা করা যায় এমন জিনিস কিনতে পারেন। আবার খাবার টেবিলটি যাতে কাজের পর দেওয়ালে আটকে দেওয়া যায়, সেই উপায়ও করা যায়। বই রাখার জন্য ভাঁজ করা তাক, এমন অনেক কিছুই পাওয়া যায় এখন।
আলো
অন্দরসজ্জার সঙ্গে আলোর নিবিড় যোগ রয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঘর সাজানোর পদ্ধতিও বদলেছে। চিরাচরিত টিউব লাইট নয়, বরং এখন অন্য নানা ধরনের আলোর ব্যবহার হচ্ছে। কোন কোণ থেকে, কতটা হেলিয়ে আলো ফেলা হবে, তার উপর নির্ভর করে ঘরের সৌন্দর্য। কৃত্রিম সিলিংয়ে আলোর ব্যবহার করা যায়। দেওয়াল সজ্জাতেও এখন এমন ভাবে আলো লাগানো হয়, যেখানে উৎসটি দেখা যায় না, তবে আলোর উপস্থিতি টের পাওয়া যায়।