— প্রতীকী চিত্র।
অনেক দিনের সাধ বাড়ির সকলের জন্য নতুন একটি গাড়ি কেনার। পুজোর সময়েই তো গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি বিশেষ ছাড় দেয়। তাই গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে এই সময়টিকেই বেছে নেন অনেকে। রাস্তায় কোনও গাড়ির রং দেখে বা বন্ধুর গাড়ি চড়ে ভাল লাগলেই তো আর তা কিনে ফেলা যায় না। অভিজ্ঞরা বলছেন, গাড়ি কিন্তু পোশাক নয়, পছন্দ না হলে তা ফেলে দেওয়া যাবে না। তাই কেনার আগে কয়েকটি বিষয় খুঁটিয়ে দেখে নেওয়া জরুরি।
১) বাজেট
গাড়ির ব্র্যান্ড বা মডেল পছন্দ করার আগে বাজেট ঠিক করে নেওয়া দরকার। গাড়ির মডেল দেখে পছন্দ হলেও যদি পকেট সঙ্গ না দেয়, তখন খারাপ লাগতেই পারে। তাই আগে থেকে ঠিক করে নিন কত টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন।
২) গাড়ির ভাল-মন্দ
যে গাড়িই পছন্দ করুন না কেন, কেনার আগে সেই বিষয়ে ভাল করে পড়াশোনা করে নেবেন। নিজেদের পরিচিতের মধ্যে কেউ যদি সেই নির্দিষ্ট গাড়ির সেই মডেলটি ব্যবহার করেন, তা হলে বাড়তি সুবিধে। খুঁটিনাটি বিষয়ে খোঁজ নেওয়া সহজ হবে।
৩) গাড়ি চালিয়ে দেখুন
গাড়ি কিনতে গেলে প্রস্তুতকারী সংস্থা থেকেই ‘টেস্ট ড্রাইভ’ নেওয়ার সুবিধা থাকে। কেনার আগে অবশ্যই গাড়ি চড়ে দেখে নিতে হবে। তবে অভিজ্ঞদের মত, দোকানের নিজস্ব ড্রাইভারের পাশে বসে শুধু গাড়ি না চড়ে, নিজে চালিয়ে দেখতে পারলে ভাল হয়। পা রাখার জায়গা, গাড়ির ইন্টেরিয়র সবটাই খুঁটিয়ে দেখে নেওয়া জরুরি।
৪) নিজের আসল বাজেট বলবেন না
গাড়ি কিনতে গেলে সঙ্গে অনেক কিছু থাকে। যা একত্রিত করলে গাড়ির মোট দামের চেয়ে প্রায় এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা বেড়ে যায়। তাই যদি কারও বাজেট থাকে ৫ লক্ষ টাকা হয়, সে ক্ষেত্রে গাড়ি কিনতে গেলে ১ লক্ষ হাতে রেখে ৪ লক্ষ টাকা বলাই ভাল।
৫) কী ধরনের গাড়ি পছন্দ
গাড়ি সাধারণত হ্যাচব্যাক, এসইউভি এবং সেডান— এই তিন প্রকারের হয়ে থাকে। তিন থেকে চার জনের ছোট পরিবারের ক্ষেত্রে হ্যাচব্যাকজাতীয় গাড়িই সবচেয়ে ভাল। কম দামে পোক্ত গাড়ি বলতে যা বোঝায়, এই ধরনের গাড়ি তাই। তবে বাজেট যদি বেশি থাকে, আপনি যদি খুব শৌখিন হন, সে ক্ষেত্রে সেডান গাড়ি কিনতে পারেন। পরিবারে লোক সংখ্যা বেশি হলে এসইউভি জাতীয় গাড়িই কেনা উচিত বলে মত অভিজ্ঞদের।