— প্রতীকী চিত্র।
দুধের চেয়ে পুষ্টিগুণ অনেকটাই বেশি টক দইয়ে। তাই জলখাবারে চিঁড়ের সঙ্গে বা দুপুরে খাবার খাওয়ার পর টক দই খাওয়ার চল রয়েছে অনেক বাড়িতেই। দুধ থেকে দই তৈরির সময়ে স্বাভাবিক পদ্ধতিতেই ল্যাক্টোব্যাসিলাস ব্যাক্টেরিয়ার জন্ম হয়। ফলে দুধে থাকা ল্যাক্টোজ়, ল্যাক্টিক অ্যাসিডে পরিবর্তিত হয়ে যায়। যা হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অন্ত্রে থাকা মাইক্রোবায়োটার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে পারে। যা ওজন থেকে রক্তে শর্করার পরিমাণ— সবই নিয়ন্ত্রণ করে।
১) টক দই হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। পুরুষদের তুলনায় মহিলারা বেশি মাত্রায় ক্যালশিয়ামের অভাবে ভোগেন। নিয়মিত টক দই খেলে, হাড় ক্ষয়ে যাওয়া বা অস্টিয়োপোরোসিসের সমস্যা কমতে পারে।
২) টক দই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যাঁরা নিয়মিত এই দই খান, তাঁদের হৃদ্যন্ত্রের কার্যকলাপ সচল রাখতেও সাহায্য করে টক দই।
৩) দই খেলে হজমশক্তি বাড়ে। অতিরিক্ত তেলমশলার খাবার হজম করতে বেশ কিছুটা সাহায্য করে।
৪) অনেকেই দুধ খেতে পারেন না। দুধ খেলে পেটে নানা রকমের সমস্যা হয়। কিন্তু দই হজম করতে খুব বেশি সমস্যা হওয়ার কথা নয়। দুধের বেশির ভাগ পুষ্টিগুণই দইয়ে রয়েছে।
৫) টক দই রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। মরসুম বদলের সময়ে এই দই খেলে জ্বর-সর্দি-কাশির সমস্যা কম হয়।