— প্রতীকী চিত্র।
নিরামিষ হোক বা আমিষ, রান্নায় নারকেলের দুধ পড়লে তার স্বাদ বেড়ে যায়। তবে শুধু ভারতীয় রান্নায় নয়, বেক্ড খাবারেও নারকেলের ব্যবহার রয়েছে। যাদের ল্যাক্টোজ় ইনটলারেন্স রয়েছে অর্থাৎ, গরুর দুধ বা দুগ্ধজাত কোনও খাবার খেতে পারেন না, ইদানীং তাঁদের মধ্যে নারকেলের দুধ খাওয়ার চল শুরু হয়েছে। গরুর দুধের মতো ক্যালশিয়াম বা ভিটামিন ডি না থাকলেও কার্বোহাইড্রেট, ক্যালোরি, ফ্যাট, শর্করা, পটাশিয়াম, সোডিয়ামের মতো খনিজ রয়েছে নারকেলের দুধে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, নিয়মিত এই দুধ খেলে বিপাকহার উন্নত হয়। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর এই দুধ বাড়িয়ে তোলে রোগ প্রতিরোধশক্তিও। আর কোন কোন উপকারে লাগে এই দুধ?
১) শক্তির উৎস
নারকেল দুধের মধ্যে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড। যা সরাসরি লিভার গিয়ে সেখান থেকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে। কায়িক পরিশ্রম করার পর খুব ক্লান্ত লাগলে চট করে এনার্জি ফিরে পেতে খেতে পারেন নারকেলের দুধ।
২) হজমশক্তি উন্নত করতে
নরাকেলের মধ্যে রয়েছে সহজপাচ্য ফাইবার এবং ফ্যাটি অ্যাসিড। যা হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, নারকেলের দুধ খেলে খাবার হজমে সহায়ক উৎসেচকগুলি ক্ষরণের হার বেড়ে যায়। যদিও এ বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।
৩) সংক্রমণ রোধ করতে
নারকেলের দুধের মধ্যে রয়েছে মনোলোরিন নামক বিশেষ একটি উপাদান। তা ভাইরাসের লিপিড মেমব্রেনটিকে ধ্বংস করে তার কার্যক্ষমতা নষ্ট করে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, নারকেলের দুধ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে।
৪) ক্যানসার প্রতিরোধী
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত নারকেলের দুধ খেলে ক্যানসার আক্রান্ত কোষ দেহের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়া প্রতিহত করতে পারে। নারকেলের দুধে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ উপাদানগুলি ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করে।
৫) কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে
নারকেলের দুধের মধ্যে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড। যা হার্ট ভাল রাখতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নারকেলের দুধ রক্তে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল)-এর মাত্রা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।