corona

Trains and schools reopening: ট্রেন চলা, স্কুল খোলার সিদ্ধান্তে আতঙ্কিত? কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক-মনোবিদ

দিকে, করোনা সংক্রমণ আবার ধীরে ধীরে বাড়ছে। ফলে আতঙ্কও বাড়ছে। এর মধ্যে সন্তানদের স্কুল-কলেজে পাঠানো নিয়ে চিন্তা বেড়েছে বহু অভিভাবকের মধ্যে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২১ ১৯:৫৫
Share:

ট্রেন চলাচল বা স্কুল বন্ধ থাকলেই যে পথ-ঘাটে বেরোনো কমে গিয়েছে, এমন নয়।

ট্রেন চালু হচ্ছে। আর ক’দিনের মধ্যে স্কুল-কলেজও খুলবে। এ দিকে, করোনা সংক্রমণ আবার ধীরে ধীরে বাড়ছে। ফলে আতঙ্কও বাড়ছে। এর মধ্যে সন্তানদের স্কুল-কলেজে পাঠানো নিয়ে চিন্তা বেড়েছে বহু অভিভাবকের মধ্যে। ট্রেনে চেপে কর্মক্ষেত্রে যাওয়া নিয়েও রয়েছে ধন্দ। এই পরিস্থিতিকে কী ভাবে দেখছেন চিকিৎসক-মনোবিদরা? তাঁরা কি মনে করেন, এই আতঙ্ক ভিত্তিহীন? না কি ভয় পাওয়াই স্বাভাবিক?

Advertisement

চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী মনে করেন, ট্রেন চলাচল বা স্কুল বন্ধ থাকলেই যে পথ-ঘাটে বেরোনো কমে গিয়েছে, এমন নয়। বরং বাদবাকি সব কাজই ধীরে ধীরে পুরনো ছন্দে ফিরছে। যেমন হয়েছে উৎসবের আনন্দ। তিনি বলেন, ‘‘পুজোর বাজার করা কিংবা মণ্ডপে গিয়ে ঠাকুর দেখা এ বার দিব্যি হয়েছে আগের মতোই। তবে আর স্কুল-কলেজ বন্ধ রেখে কী হবে?’’ তার মানে এমন নয় যে সব ভুলে গিয়ে আগের মতো ঘোরাফেরা করা যাবে। চলতে হবে নিয়ম মেনে। সন্তানকে স্কুলে পাঠানোর আগে নতুন করে করোনাবিধি সম্পর্কে সচেতন করে দিতে হবে। সুবর্ণবাবু বলেন, ‘‘মনে রাখা জরুরি যে, স্যানিটাইজারের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর সাবান-জলে হাত ধোয়া। এরই পাশাপাশি মাস্ক ব্যবহার করতে হবে নিয়ম করে। আর পাঁচ জনের থেকে যতটা সম্ভব দূরত্বও রাখতে হবে। প্রত্যেক স্কুলে যদি থার্মাল চেকিংয়ের ব্যবস্থা রাখা যায়, তা হলে সকলে আরও আশ্বস্ত হন।’’

তিনি মনে করেন, অনেকেই এখন ক্লাসে ফিরে লেখাপড়া করতে চান। বাবা-মায়েরাও সন্তানদের জন্য তা চাইছেন। ফলে একটু সতর্ক হয়ে চললেই হল। ভয়ও কেটে যাবে।

Advertisement

অনেকেই এখন ক্লাসে ফিরে লেখাপড়া করতে চান।

একমত মনোবিদ অনুত্তমা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনিও মনে করেন,অনেকেই এ বার বেরোতে চাইছেন। পুরনো ছন্দে ফিরতে চাইছেন। আগের মতো উৎসাহ নিয়ে কাজ করতে চাইছেন। অনুত্তমা বলেন, ‘‘আশঙ্কা আছে। তেমন তার সঙ্গে বোঝাপড়ায় এসে নিজের জীবনের গতিপথ আবার নতুন করে ফিরে পাওয়ার ইচ্ছাও আছে। দু’টির মধ্যে বোঝাপড়ার ভাষা খুঁজছে মানুষ। তবে সবটাই করতে হবে যথেষ্ট সতর্ক হয়ে।’’

আবার তো সংক্রমণের হারও বাড়ছে। এ সময়ে নিজেদের মতো করে সজাগ থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন মনোবিদ। বলছেন, ‘‘যদি কোনও কারণে অসুস্থ বোধ করি, সর্দি-কাশি কিংবা জ্বর হয়, তবে যেন অবিলম্বে আমরা ডাক্তারের পরামর্শ নিই। তিনি যদি কোনও চিকিৎসার কথা বলেন বা অন্যদের থেকে একটু আলাদা হওয়ার পরামর্শ দেন, আমরা যেন সেটা পালন করি। নিজের এবং অন্যের সুস্থতার দায়িত্ব নিয়ে আমাদের নিজেদের জীবনের ছন্দে ফিরতে হবে।’’

অন্যান্য দেশে মাঝেমাঝেই করোনা পরীক্ষা করে দেখার কথা বলা হচ্ছে। বাড়িতেই কিট ব্যবহার করে। আমাদের দেশে হয়তো ততটা সম্ভব নয়। কিন্তু নিজের শরীর বুঝে যদি চলাফেরা করি এবং সন্তানকেও সে ভাবে শেখাই, তা হলেই অনেকটা সামলে চলা সম্ভব বলে মনে করেন মনোবিদ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement