— প্রতীকী চিত্র।
অল্প বয়সে ত্বক এতটাই তৈলাক্ত ছিল যে মুখে কিছু মাখার প্রয়োজন বোধ করেননি। ভোরবেলা স্কুল ছিল, ফিরে আসতেন ১০টার মধ্যে। তাই সানস্ক্রিন মাখার কথাও মনে হয়নি। কিন্তু বয়স ৩০-এর কোঠায় পৌঁছতে না পৌঁছতেই চামড়ায় অজস্র সরু সরু দাগ ভরে উঠেছে। অনেকটা স্কুলে হাতের কাজ করার জন্য যে ক্রেপ পেপার ব্যবহার করা হয়, অনেকটা সেই রকম। পায়ে আলতা পরলে তা সবচেয়ে ভাল বোঝা যায়। সরু সরু দাগের পথ ধরে রক্ত বর্ণের আলতা ছড়িয়ে পড়ে ত্বকজুড়ে। হাত, পা, কনুই, মুখ— কোথাও বাদ নেই। কিন্তু কেন এমনটা হয়?
১) সাধারণত বয়স হলে ত্বকের পেশি শিথিল হয়ে পড়ে। টানটান ভাব নষ্ট হয়। কোলাজেন প্রোটিনের উৎপাদন ক্ষমতাও কমতে থাকে। ঝুলে পড়া চামড়ার উপর এই ধরনের দাগ দেখা দিতেই পারে।
২) সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি ত্বকে কোলাজেন নষ্ট করে। যার ফলে ত্বকের টান-টান ভাব নষ্ট হয়। ত্বকের উপর সরু সরু রেখার মতো অজস্র দাগ ফুটে উঠতে থাকে।
৩) ত্বকে আর্দ্রতার অভাব হলেও অনেক সময়ে চামড়া কুঁচকে যায়।
এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় কী?
১) যে কোনও বয়সেই চামড়ায় এই ধরনের দাগ পড়তে পারে। তার জন্য দিনের বেলা রোদ থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখা প্রয়োজন। বাইরে না বেরোলেও সানস্ক্রিন মাখতে হবে নিয়মিত।
২) ত্বকে যেন জলের ঘাটতি না হয়, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে হায়ালুরনিক অ্যাসিড দেওয়া ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করতে হবে।
৩) মদ্যপান, ধূমপানে লাগাম টানতে হবে। বেশি তেল-মশলা দেওয়া খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন, খনিজের ওষুধও খাওয়া যেতে পারে।