—প্রতীকী ছবি।
বন্ধুরা তো ছাড়ার পাত্র নয়। এক-আধ বার তাদের সঙ্গে বেড়াতে না গেলে রেগেই যায়। কিন্তু চিরকাল জেনে এসেছেন হাতের পাঁচটি আঙুল পাঁচ রকম। দু’-তিন ঘণ্টা বন্ধুদের সান্নিধ্যে কাটানো আর তাঁদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ৫-৬ দিন একসঙ্গে থাকা তো এক নয়। সমবয়স্ক না হলেও একসঙ্গে ঘুরতে যেতে হলে সমমনস্ক হওয়া জরুরি। সহযাত্রী নির্বাচনের আগে আর কী কী মাথায় রাখবেন?
১) দু’জনের বাজেট
সারা বছর হাত টেনে বুঝে চললেও ঘুরতে গিয়ে হিসাব করার পক্ষপাতী নন আপনি। কিন্তু সঙ্গে থাকা মানুষটির হয়তো সামর্থ্য তেমন নয়। সে ক্ষেত্রে দু’পক্ষেরই খারাপ লাগা স্বাভাবিক। তাই ঘুরতে যাওয়ার আগে এই বিষয়টি ভাল করে দেখে নেওয়া প্রয়োজন।
২) পছন্দ-অপছন্দ
দু’জনের রুচি, পছন্দ-অপছন্দ একেবারে এক না হলেও ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা মিল থাকা প্রয়োজন। না হলে খাপ খাওয়াতে অসুবিধা হতে পারে। খাওয়ার বিষয়ে পছন্দ আলাদা হলেও অসুবিধা নেই। কিন্তু ঘুরতে গিয়ে একজনের ঘুমোনোর ইচ্ছে হলে আর অন্য জনের টইটই করে ঘোরার ইচ্ছে হলে কিন্তু মহা মুশকিল।
৩) অভিযোগ করার মানসিকতা
দু’জনের মধ্যে বোঝাপড়া কতটা ভাল, সে বিষয়েও খেয়াল রাখা জরুরি। আপনার কোনও কাজ তার ভাল না লাগতেই পারে। আবার উল্টো দিক থেকে সহযাত্রীর কোনও কাজ যদি আপনার ভাল না লাগে, কী ভাবে দু’জন বিষয়টি সামলাবেন তা দেখে নিতে হবে। একে অপরের বিরুদ্ধে ক্রমাগত অভিযোগ করলে ঘোরাটাই মাটি হয়ে যেতে পারে।
৪) অলস না কি অত্যন্ত ছটফটে
কর্মব্যস্ত জীবন থেকে দিন দুয়েকের ছুটি নিয়ে আপনি হয়তো জঙ্গলে গেলেন শুধু মাত্র বিশ্রাম নিতে। কিন্তু আপনার সহযাত্রীটি জঙ্গলের বন্যপ্রাণ দেখে তাদেরই মতো উজ্জীবিত হয়ে পড়লেন। সকাল থেকে রাত— টইটই করে ঘুরে বেড়ালেন। আপনাকে বিছানায় পড়ে থাকতে দিলেন না। সঙ্গে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেলেন। এমন অভিজ্ঞতা সকলের জন্য সুখকর না-ও হতে পারে।
৫) পরিচ্ছন্নতা
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। বন্ধু হলেও এক মুহূর্ত এই বিষয়ে আপস করতে পারেন না। ঘুরতে গিয়ে হোটেলের একটি ঘরে বিছানা ভাগ করে শুতে গিয়ে যদি বিপদে পড়েন রাত-বিরেতে ফিরে আসার পথ পাবেন না।