—প্রতীকী ছবি।
অফিস এবং ঘরের কাজ একসঙ্গে সামলাতে গিয়ে বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পাওয়া যায় না। তার উপর রাতে ওয়েব সিরিজ় না দেখলে আবার ঘুম আসে না। তাই রাতেও ঘুমোতে ঘুমোতে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। ফলে পরের দিন সকাল থেকেই ঘিরে ধরে একরাশ ক্লান্তি, কাজে ভুল হওয়া, বাড়তি মানসিক চাপ। তবে নিয়মিত যোগাসন করলে অবশ্য এই সব সমস্যা বশে থাকতে পারে। হজমের সমস্যা থাকলে তা-ও নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে এই অভ্যাসে। তবে ঘুম থেকে উঠে যদি শরীরচর্চা করতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে রাতে তো জেগেই থাকেন, খাওয়াদাওয়া করার ঘণ্টা দুয়েক পর তিন যোগাসন কিন্তু সহজেই অভ্যাস করে ফেলতে পারেন।
১) পবনমুক্তাসন
প্রথমে সোজা হয়ে মাটিতে শুয়ে পড়ুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে প্রথমে ডান পায়ের হাঁটু ভাঁজ করে বুকের কাছে এনে দু’হাত দিয়ে চেপে ধরুন। হাঁটু বুক ও পেটের সংস্পর্শে থাকবে। এ ভাবে কিছু ক্ষণ থাকার পর ডান হাঁটু ধীরে ধীরে নামিয়ে বাঁ হাঁটু বুকের কাছে একই ভাবে তুলে আনুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে এ অবস্থায় কিছু ক্ষণ থাকার পর বাম হাঁটু নামিয়ে নিন। প্রতি দিন নিয়ম করে ৪-৫ মিনিট এই অনুশীলনটি করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিরাময় হবে।
—প্রতীকী ছবি।
২) ভুজঙ্গাসন
মেঝেতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাতের তালু মেঝের উপর ভর দিয়ে পাঁজরের দুই পাশে রাখুন। এর পর কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে বাকি শরীরটা ধীরে ধীরে উপরের দিকে তুলুন। এর পর মাথা বেঁকিয়ে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যান। প্রথম দিকে এই আসন তিন বার করুন। পরবর্তী কালে ৫-৬ বারও করতে পারেন।
৩) ধনুরাসন
উপুড় করে শুয়ে পড়ুন। তার পর হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা যতটা সম্ভব পিঠের উপর নিয়ে আসুন। এ বার হাত দু’টি পিছনে নিয়ে গিয়ে গোড়ালির উপর শক্ত করে চেপে ধরুন। চেষ্টা করুন পা দু’টি মাথার কাছাকাছি নিয়ে আসতে। এই ভঙ্গিতে মেঝে থেকে বুক, হাঁটু ও উরু উঠে আসবে। তলপেট ও পেট মেঝেতে রেখে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড থাকুন। তার পর পূর্বের ভঙ্গিতে ফিরে যান। এই আসন বার তিনেক করতে পারেন।