নারকেল তেল কী ভাবে ত্বকে লাগালে জ্বালা, চুলকানি কমবে। ছবি: সংগৃহীত।
সোরিয়াসিস বড় নাছোড় রোগ। ত্বকের এই সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। হাতে, পায়ে, কনুইতে, হাতের তালুতে, এমনকি মাথার ত্বকেও হতে পারে এই চর্মরোগ। খোসা ওঠার মতো করে ত্বকের উপরের স্তরটা উঠে যেতে থাকে। দেখলে মনে হবে, ত্বকের উপরে মাছের আঁশের মতো ছোপ পড়েছে। অনেকের আবার চামড়া ফেটে গিয়ে রক্ত বার হতে থাকে। সেখানে জ্বালা, চুলকানি হয়। ত্বক চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সোরিয়াসিস সহজে সারে না। ত্বক এতটাই শুষ্ক, খসখসে হয়ে যায় যে, প্রচণ্ড অস্বস্তি হয়। তাই এই সময়ে নারকেল তেল ত্বকে লাগালে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
সোরিয়াসিসের ত্বকে নারকেল তেল কী ভাবে লাগালে উপকার পাবেন জেনে নিন।
১) নারকেল তেল ও হলুদের প্যাক
এক চামচ হলুদ গুঁড়োর সঙ্গে দু’চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। এ বার মিশ্রণটা হাতের তালুতে নিয়ে ধীরে ধীরে ত্বকের খসখসে, খোসা ওঠা জায়গাগুলিতে লাগান। খুব বেশি ঘষাঘষি করবেন না, তাতে চামড়া আরও ফেটে যেতে পারে। এক ঘণ্টা মতো রেখে স্নান করে নিন।
২) নারকেল তেলের সঙ্গে মধু
নারকেল তেল যতটা নেবেন, ততটাই মধু নিতে হবে। এই মিশ্রণ শিশিতে ভরে রেখেও দিতে পারেন। প্রতি দিন অল্প অল্প করে ত্বকের ক্ষতস্থানগুলিতে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। মধুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বকে সংক্রমণ হতে দেবে না। তা ছাড়া এই প্যাক নিয়ম করে লাগালে ত্বকের জ্বালাপোড়া ভাবও কমে যাবে অনেকটা।
৩) নারকেল তেল আর অ্যালো ভেরা জেল
ত্বকের জ্বালাপোড়া, চুলকানি কমাবে অ্যালো ভেরা জেল। ত্বকে শীতল ভাব এনে দেবে। তার জন্য এক চামচ নারকেলে তেলে এক চামচ অ্যালো ভেরা জেল মিশিয়ে নিন। এ বার ত্বকের যে জায়গাগুলিতে চুলকানি হচ্ছে, সেখানে ভাল করে লাগিয়ে নিতে হবে। আধ ঘণ্টা মতো রেখে ধুয়ে ফেলুন।
সোরিয়াসিসের ক্ষেত্রে রোগীকে একটু বেশিই সাবধান থাকতে হয়। রোগ কিছুটা কমে যাওয়ার পরেও নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা দরকার। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই অনেকে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন। এটা বিপজ্জনক। এতে রোগী বিপদ ডেকে আনেন।
এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। সকলের ত্বক সমান নয়। অ্যালার্জি জনিত সমস্যাও থাকতে পারে। তাই সোরিয়াসিস হলে ত্বকে কী কী লাগাতে পারবেন, তা ত্বক চিকিৎসকের থেকে জেনে নেওয়াই ভাল।