অভিনেত্রী আলিয়া ভট্ট এবং দীপিকা পাড়ুকোন। ছবি: সংগৃহীত।
গরমে মাথার ত্বকে ঘাম, বর্ষায় চটচটে ভাব কিংবা শীতে খুশকির বাড়বাড়ন্ত হবে। তার উপর রাস্তার ধুলোময়লা, দূষণ তো আছেই। তাই খুব প্রয়োজন না হলে চুল খোলা রেখে পারতপক্ষে কোথাও বেরোন না। অনেক ক্ষণ টেনে চুল বেঁধে আবার অনেকের মাথা যন্ত্রণা করে। টেনে চুল বাঁধার আরও একটা সমস্যা কিন্তু রয়েছে। অনেকেই বলেন, টেনে চুল বাঁধলে কপাল চওড়া হয়ে যায়। অর্থাৎ কপালের ঠিক যেখান থেকে ছোট ছোট চুল গজাতে শুরু করে, সেই রেখা বা ‘লাইন’ সমানে উপরের দিকে উঠতে থাকে।
পশ্চিমি পোশাকের সঙ্গে চুলে মানানসই পনিটেল বা মেসি বান করলে দেখতে মন্দ লাগে না। কিন্তু মাথার সামনের দিকের চুল এবং ফলিকলে টান পড়ে চুলের গোড়া দুর্বল হতে শুরু করে। ফলে চুল পড়ার পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। চিকিৎসকেরা বলছেন, দীর্ঘ ক্ষণ এই ভাবে বাঁধা থাকলে ‘ট্র্যাকশন অ্যালোপেশিয়া’য় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। ‘হেয়ারলাইন’ উপরের দিকে উঠে কপাল চওড়া হতে থাকে।
আলগা করে চুল বাঁধলে বা খোলা রাখলে এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়?
তাড়াতাড়ি লম্বা হওয়ার আশায় অভিভাবকেরা অনেক সময়ে বাচ্চাদের টেনে চুল বেঁধে দেন। অনেক ক্ষেত্রেই তা মাথা যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমন সমস্যা এড়াতে আলগা করে চুল বাঁধাই ভাল। তবে, চুল খোলা রাখলেই যে ‘হেয়ারলাইন’ উঠে যাওয়ার সমস্যা রুখে দেওয়া যাবে, এমন ধারণা যুক্তিযুক্ত নয়। গোড়া দুর্বল হলে খোলা রাখলেও চুল ঝরবে।
কেশসজ্জাশিল্পীরা বলছেন, ভেজা চুল শুকোনোর জন্য কিছুটা সময় চুল খোলা রাখতেই হবে। কিন্তু চুল খুলে রাস্তায় বেরোলে চুল রুক্ষ হয়ে, জট পড়ে যেতে পারে। ভেজা চুলে ধুলোময়লা জমে সেখান থেকে খুশকির সমস্যাও বাড়তে পারে। আবার, ভেজা চুল শুকোনোর জন্য অতিরিক্ত ড্রায়ার ব্যবহার করলেও চুলের ক্ষতি হতে পারে।