খসখস করছে মানেই কি ত্বকে আর্দ্রতার অভাব হচ্ছে? ছবি: সংগৃহীত।
আর্দ্রতার অভাব হলে ত্বক শুষ্ক হতে পারে। কিন্তু শুষ্ক ত্বক মানেই যে ত্বক ‘ডিহাইড্রেটেড’, তেমনটা কিন্তু বলা যায় না। ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, ত্বকের বিভিন্ন প্রকার রয়েছে। তার মধ্যে শুষ্কতাও একটি প্রকার। সাধারণত ত্বকে সেবামের অভাব দেখা দিলে এই ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। সেবাম বা ত্বকের নিজস্ব তেল উৎপাদনের পরিমাণ কমে যাওয়ার পিছনে আবার অনেক থাকে। কারও ক্ষেত্রে এই সমস্যা একেবারেই জিনগত, কারও ক্ষেত্রে বয়সজনিত। আবার, পরিবেশ দূষণের কারণেও এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কিন্তু পর্যাপ্ত জল না খেলে যে কোনও ধরনের ত্বক ‘ডিহাইড্রেটেড’ বা শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার অভাব থাকলে কিংবা কনকনে ঠান্ডাতেও ত্বকে জলের ঘাটতি দেখা দেয়। আবার, অতিরিক্ত মেকআপ ব্যবহার করলে বা দীর্ঘ ক্ষণ চড়া আলোতে থাকলেও ত্বক জলশূন্য হয়ে পড়তে পারে। ত্বকে জলের অভাব কিংবা শুষ্কতার লক্ষণগুলি এক রকম হলেও বিষয়টি কিন্তু একেবারেই আলাদা।
শুষ্ক ত্বক না কি ত্বকে আর্দ্রতার অভাব, বুঝবেন কী করে?
মুখ ধোয়া বা স্নান করার পর শুষ্ক ত্বকে টান অনুভব করেন অনেকে। মুখ থেকে পাতলা চামড়া উঠতে থাকে। খসখসে ত্বকে বলিরেখাও দেখা দিতে পারে। কিন্তু ‘ডিহাইড্রেটেড’ ত্বকে এই সমস্ত লক্ষণ আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তবে ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, ময়েশ্চারের অভাব পূরণ করতে গিয়ে কোনও কোনও ক্ষেত্রে ত্বক আবার অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়ে উঠতে পারে।
এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় কী?
ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, শুষ্ক ত্বকের সমস্যার নেপথ্যে যে হেতু শারীরবৃত্তীয় কিছু প্রক্রিয়া জড়িত, তাই শুধু বাইরে থেকে কিছু প্রসাধনী মেখে পুরোপুরি প্রতিকার করা সম্ভব নয়। পর্যাপ্ত জল খাওয়ার পাশাপাশি ভিটামিন এ, ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিডের জোগান অব্যাহত রাখতে হবে। ‘ডিহাইড্রেটেড’ ত্বকে অ্যালো ভেরা, সেরামাইড, গ্লিসারিন কিংবা হায়ালুরনিক অ্যাসিড দেওয়া ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজ়ার মাখা যেতে পারে।