ঘিয়ের গুণেই রূপ খোলতাই হবে। ছবি: সংগৃহীত।
শরীরের অন্দর হোক বা বাহির— ঘিয়ের ব্যবহার সর্বত্র। নানা রকম পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ঘি হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আবার, ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতেও ঘিয়ের ভূমিকা রয়েছে। খাঁটি গরুর দুধের ঘিয়ে রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। ত্বক এবং চুলের যত্নে কী কী ভাবে ঘি ব্যবহার করা যায়, জানেন?
১) ময়েশ্চারাইজ়ার
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ঘি মাখেন অনেকে। ঘিয়ের মধ্যে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড। যা সহজে ত্বককে শুষ্ক হতে দেয় না।
২) লিপ বাম
গরমকালেও ঠোঁট ফাটতে পারে। শরীরে জলের অভাব হলে অনেক সময়ে ঠোঁট ফাটে। বাজার থেকে কেনা বাম ব্যবহার না করে ঘি মাখতে পারেন।
৩) কন্ডিশনার
শ্যাম্পু করার আগে মাথার তালু এবং চুলের ডগায় হালকা গরম ঘি মাখতে পারেন। মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার পাশাপাশি চুলের ডগা ফাটার সমস্যা রোধ করতেও সাহায্য করে এই উপাদান।
৪) ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে
ঘিয়ের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা সহজে ত্বক বুড়িয়ে যেতে দেয় না। বাজার থেকে দাম দিয়ে অ্যান্টি-রিঙ্কল ক্রিম না কিনে ঘি মাখতে পারেন। মুখে বলিরেখা পড়বে না।
৫) চোখের কালি তুলতে
চোখের তলার কালি, ফোলা ভাব দূর করতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে রোজ সামান্য ঘি মাখতে পারেন। চোখের চারপাশে বলিরেখা পড়ার প্রবণতাও রুখে দিতে পারে এই উপাদান।
৬) কিউটিকল ক্রিম
নখের চারপাশ থেকে সমানে ছাল উঠছে। সালোঁয় গিয়ে ম্যানিকিয়োর করলে নখের ধারে কিউটিকল অয়েল মাখিয়ে দেওয়া হয়। দোকান থেকে সেই অয়েল না কিনে নখের চারপাশে ঘি মাখতে পারেন।
৭) ফাটা গোড়ালির জন্য
শুধু শীতকাল নয়, সারা বছরই শুষ্ক, ফাটা গোড়ালির সমস্যা। বাজার চলতি ‘ক্র্যাক ক্রিম’ যদি কাজে না আসে, শোয়ার আগে পায়ে ঘি মেখে দেখতে পারেন।