কোন অভ্যাসে কিডনি খারাপ হয়? ছবি: সংগৃহীত।
শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল কিডনি। সুস্থ থাকতে কিডনিকে অবহেলা করলে চলবে না। নয়তো শরীরে নানা জটিল রোগ বাসা বাঁধতে পারে। বড় কোনও শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার আগে তাই সতর্ক থাকা জরুরি। কোনও ক্রনিক অসুখ না থাকলে সাধারণত কি়ডনির যত্ন নেওয়া খুব কঠিন কাজ নয়। সামান্য যত্নেই কিন্তু সুস্থ রাখা যায় কিডনিকে। কর্মব্যস্ততার কারণে অনেকেই আলাদা করে নিজের যত্ন নেওয়ার সুযোগ পান না। আর তাতেই বাড়ে বিপত্তি। জানেন, কোন কোন অভ্যাস কিডনির ক্ষতি করে?
১) ধূমপান
ধূমপান শুধু ফুসফুস নয়, কিডনিরও ক্ষতি করে। ধূমপানে রক্তনালীর ক্ষতি হয় ও দেহে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা তৈরি হয়। যা কিডনির উপর মারাত্মক চাপ তৈরি করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধূমপান কিডনির ক্যানসারের আশঙ্কাও বৃদ্ধি করে।
২) শরীরে জলের ঘাটতি
কিডনির স্বাস্থ্য ভাল রাখতে জল খেতে হবে, এ কথা সবাই জানেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় যে, অনেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করেন না। দিনে অন্তত দুই থেকে আড়াই লিটার জল খাওয়া আবশ্যিক। আবহাওয়া কিংবা জীবনচর্চার উপর ভিত্তি করে জল খাওয়ার পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে।
৩) দীর্ঘ ক্ষণ প্রস্রাব না করা
কিডনি সংক্রমণের অন্যতম কারণ হল প্রস্রাব চেপে রাখা। সাধারণত রাস্তাঘাটে বা অনেক সময় কাজের চাপে বাড়িতে থাকলেও অনেকেই প্রস্রাবের বেগ চেপে রাখেন। এই অভ্যাস দিনের পর দিন ঘটালে কিন্তু বিপদ। এর ফলে মূত্রনালীতে চাপ পড়ে, তাতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিডনি। শরীরে বেশি ক্ষণ প্রস্রাব ধরে রাখার ফলে কিডনির শারীরবৃত্তীয় কাজ সারতে সমস্যা হয় ও দীর্ঘ সময় ধরে টক্সিন ধরে রাখায় শরীরে সংক্রমণ ঘটে।
খাবারে অতিরিক্ত নুন খাওয়ার অভ্যাস কিডনির সমস্যা ডেকে আনতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
৪) অতিরিক্ত নুন খাওয়া
খাবারে অতিরিক্ত নুন খাওয়ার অভ্যাসও কিডনির সমস্যা ডেকে আনতে পারে। নুন খেলে রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যায়। তার সঙ্গে কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকিও বাড়তে থাকে।
৫) নিজে নিজে ওষুধ খাওয়া
পেটব্যথা থেকে সর্দিকাশি, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খেতে সিদ্ধহস্ত অনেকেই। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই জানেন না, প্রদাহ বা ব্যথানাশক ওষুধ অনিয়ন্ত্রিত ভাবে প্রয়োগ করলে কিডনির উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে। ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা বা আর্থ্রাইটিসের ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খেলে কিডনি বিকল হওয়া অস্বাভাবিক নয়।