চুলের যাবতীয় সমস্যা মিটিয়ে চুলকে সুন্দর করে তোলে আমলকি। ছবি : সংগৃহীত
নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেরই সৌন্দর্যের অঙ্গ চুল। চুলের যাবতীয় সমস্যা মিটিয়ে তাকে সুন্দর করার জন্য আমলকির ভূমিকা কম নয়। ‘ত্রিফলা’-র মধ্যে অন্যতম ফলটি আমাদের চুলকে সুস্থ ও সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করে। চুলের জেল্লা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি চুল ঝরে যাওয়া, খুশকি, অ্যালোপেশিয়া-সহ নানা সমস্যা দূর করতে এটি সিদ্ধহস্ত।
অনেকেরই অভিযোগ, চুল কেন ঘন হয় না? নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে আমলকির ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস এবং ভিটামিন সি। মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুল লম্বা করতে এবং ঘনত্ব বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়। আমলকিতে থাকা এই নিউট্রিয়েন্টস চুলে কোলাজেন নামে এক বিশেষ প্রোটিন তৈরি করে। নতুন কোষ বা ফলিকল তৈরিতে এই কোলাজেন বিশেষ ভাবে সাহায্য করে।
আমলকি কী কী ভাবে চুলের যত্ন নিতে সাহায্য করে, জানেন?
১) চুল পড়া কমায়
প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০টা চুল পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু যদি এর চেয়েও বেশি চুল পড়ে, তা হলে আমলকির রস কাজে আসবে।
২) নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে
আমলকিতে থাকা কোলাজেন নতুন কোষ বা ফলিকল তৈরিতে এই কোলাজেন বিশেষ ভাবে সাহায্য করে।
৩) চুল মজবুত করে
ত্বক এবং চুলের যত্নে ভিটামিন সি অপরিহার্য। এই ভিটামিন সি-র উৎস হল আমলকি। কাঁচা আমলকি খেলে বা আমলকির রস মাথায় মাখলে চুলের গোড়া মজবুত হবে।
৪) অকালে পেকে যাওয়া রোধ করে
আমলকি দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। যা চুলের পেকে যাওয়া রোধ করতে সহায়ক।
৫) মাথার ত্বক পরিষ্কার করে
চুলের যে কোনও সমস্যা মূলে রয়েছে খুসকি। মাথার ত্বক শুষ্ক হলে বা খুসকি থাকলে চুল পড়ার সমস্যা বাড়বে। নতুন চুল গজাবেও না। তাই সবার আগে মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখা জরুরি। আমলকির রস মাথার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। ত্বককে শুষ্ক হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচায় এবং খুসকি রোধ করে।