শ্বেতা ভট্টাচার্য এবং রুবেল দাসের আইবুড়োভাত। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
আশীর্বাদের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই বিয়ের দিন গোনা শুরু। গুঞ্জন, ১৯ জানুয়ারি নাকি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন শ্বেতা ভট্টাচার্য-রুবেল দাস। তার আগে ‘অব্যূঢ়ান্ন’ (আইবুড়োভাত) খাওয়ার পালা। এমনিতেই বছরশেষে ছুটির আমেজ। সেই ছুটি গায়ে মেখে রবিবার যুগল প্রথম আইবুড়োভাত খেলেন। টেবিলে সাজানো বিরাট মাছের মাথা! রুবেল সেই পাত্র হাতে নিয়ে শ্বেতাকে বরণ করতেই হাসির রোল।
কী কী খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়েছিল তাঁদের? ছড়িয়ে পড়া ঝলক বলছে, পোলাও, সাদা ভাত, পাঁচ ভাজা, মাছ-মাংস থেকে শেষ পাতে মুখমিষ্টির জন্য পায়েস, কেক— সবই ছিল। দু’জন দু’জনের মুখে ছুঁইয়ে দেন মিষ্টি। সাজেও ছিল বিশেষত্ব। দু’জনের মাথায় মুকুট পরিয়ে দেন তাঁদের বন্ধুরা। মূলত বন্ধুদের আয়োজনেই এই বিশেষ নিমন্ত্রণ পেয়েছিলেন শ্বেতা-রুবেল। এই শুরু। বিয়ের আগের পর্যন্ত চলবে প্রলম্বিত নিমন্ত্রণ পর্ব।
১৫ ডিসেম্বর রীতি মেনে দুই পরিবার এক হয়ে আশীর্বাদ করেন হবু বর-কনেকে। শ্বেতা-রুবেল একই রঙের পোশাকে নিজেদের সাজিয়েছিলেন। ধারাবাহিক ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’র নায়িকা বেছে নিয়েছিলেন নীল রেশম শাড়ি, তাতে সোনালি বুটি। সঙ্গে সোনার গয়না। একই রঙের পাঞ্জাবি আর সাদা চোস্ত পাজামা পরেছিলেন রুবেল। দুই বাড়ির সমস্ত আত্মীয়ের উপস্থিতিতে ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছিল আশীর্বাদের জায়গা।