মাথায় কী ধরনের তেল মাখবেন এবং কখন তেল মাখবেন, তা নির্ভর করবে দশাচক্রের উপর। ছবি- সংগৃহীত
ঘন কালো চুল পাওয়ার আশা আমাদের সকলেরই থাকে। তাই বন্ধু, আত্মীয়, পাশের বাড়ির কাকিমা, যে যা বলেছেন সবই এক বার করে চুলে মেখে ফেলেছেন। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। চিন্তা নেই, আয়ুর্বেদে লুকিয়ে রয়েছে সমস্যার সমাধান। কেশ পরিচর্যায় প্রাচীনকাল থেকে সবাই তেল মাখার উপরই জোর দেন। তেল আর জল ছাড়া চুল ভাল হয় না। কিন্তু অনেকেই বলেন, মাথায় তেল মাখার শ্রেষ্ঠ সময় নাকি রাত্রিবেলা। কারণ, রাতে মাথায় ঈষদোষ্ণ নারকেল তেল মাখলে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। সেই শুনে আপনিও রাত্রে চুলে তেল মেখে শুলেন কিন্তু সকালে উঠে দেখলেন বিছানায় গোছা গোছা চুল পড়ে আছে। কেন এমনটা হল খুঁজতে গিয়ে আবার সেই আয়ুর্বেদের দ্বারস্থ হলেন। আয়ুর্বেদ বলছে, মাথায় কী ধরনের তেল মাখবেন এবং কখন তেল মাখবেন, তা নির্ভর করবে দশাচক্রের উপর। আমাদের শরীরের চরিত্র অনুযায়ী দশাকে সাধারণত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। বাতদশা, পিত্তদশা এবং কফদশা।
কফদশা
স্বাস্থ্যজ্জ্বল চুল লাভের আশায়, রাতে মাথায় তেল মেখে শুয়ে পড়লেন। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে বুঝতে পারলেন তীব্র মাথার যন্ত্রণা। আয়ুর্বেদে বলা হয়েছে, যাঁরা কফদশার অন্তর্গত, তাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত অনেকটাই বেশি। সে ক্ষেত্রে যত দামি তেলই মাথায় মাখুন না কেন, লাভ হবে না। তবে আয়ুর্বেদেই এই সমস্যার সমাধান বলে দেওয়া আছে। যারা এই দশার মানুষ, তারা স্নানের আধ ঘণ্টা আগে তেল মেখে, শ্যাম্পু করে ফেলুন।
বাতদশা
আপনার চুল যদি রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়, তা হলে আপনি বাতদশার অন্তর্গত। এই দশায় অন্তর্ভুক্তরা স্নানের এক ঘণ্টা আগে তেল মাখতে পারেন।
পিত্তদশা
এই দশার অন্তর্গত হলেও স্নানের ১৫ মিনিট আগে তেল মাখতে হবে।