ছবি: সংগৃহীত।
প্রভুকে বাঁচাতে পোষ্যেরা অনেক সময় নিজেদের জীবন পর্যন্ত বাজি রাখে। ক্যালিফর্নিয়ার বাসিন্দা পেড্রো ওর্তেগা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি, যাদের সন্তানসম স্নেহে পালন করছেন তারাই তাঁর মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তিনটি পিট বুল প্রজাতির কুকুর আচঁড়ে-কামড়ে শেষ করে দিল পেড্রোকে। ভয়াবহ এই হামলার ঘটনাটি ঘটে পেড্রোর চার বছরের সন্তানের চোখের সামনেই। এই ধরনের কুকুর সে দেশে ‘আমেরিকান বুলি’ নামে পরিচিত। যা ভয়ঙ্কর হিংস্র পিট বুল প্রজাতিরই মতো একটি প্রজাতি। ক্যালিফর্নিয়ার মিরামেসায় ঘটেছে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি। মালিকের ওপর হঠাৎ করে কেন এই আক্রমণ চালাল তিনটি কুকুর, তার কারণ এখনও জানা যায়নি। যুবককে মেরে ফেলার পর একটি কুকুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে গ্যারাজের সামনে ঘুরঘুর করতে থাকে। সেই দৃশ্য ধরা পড়েছে নজরদারি ক্যামেরায়।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খেলার মাঠের কাছে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পেড্রোর চার বছরের সন্তানও সেই হামলার সময় উপস্থিত ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা কুকুরগুলিকে একটি গল্ফ খেলার লাঠি ব্যবহার করে থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। কুকুরগুলি এতটাই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে যে তাদের থামাতে পুলিশ ডাকতে হয়। পুলিশ এসে টেসার বন্দুকের সাহায্যে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। রক্তাক্ত কুকুরগুলি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। একটি কুকুর অন্য একটি বাড়ির গ্যারাজে ঢোকার চেষ্টা করে। দরজায় থাকা ক্যামেরায় সেই ফুটেজটি ‘কলিন রুজ’ নামের এক্স হ্যান্ডল থেকে প্রকাশিত হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে কুকুরটি প্রায় অস্থিচর্মসার এবং এর পাঁজর দেখা যাচ্ছে। শরীর রক্তে ঢাকা। কুকুরটির শরীরে একটি ‘টেজার ডার্ট’ও আটকে থাকতে দেখা গিয়েছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ‘আমেরিকান বুলি’ হল আমেরিকান পিট বুল টেরিয়ার এবং অন্যান্য বুলডগ প্রজাতির সংমিশ্রণে তৈরি একটি মিশ্র প্রজাতির কুকুর।