চুলের যত্নে অ্যালো ভেরা বা ঘৃতকুমারীর উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়। ছবি- সংগৃহীত
মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে চুল নিয়ে মাথাব্যথার শেষ নেই। যে যা বলেছেন সব কিনে মাথায় মেখে ফেলেছেন। এক দিন মাখার পরই দেখলেন, চুল পড়া দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। অগত্যা নানা রকম ঘরোয়া টোটকায় ভরসা রাখতে হচ্ছে। এ বার চুলের যত্নে ঘরোয়া উপাদান বলতেই প্রথম যার কথা মাথায় আসে, তা হল তেল। কিন্তু অনেকেরই তেল সহ্য হয় না। সে ক্ষেত্রে আরও একটি উপায় আছে, যার উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়। তা হল অ্যালো ভেরা বা ঘৃতকুমারী। ছাদে, বারান্দায় যত্রতত্র ঘৃতকুমারীর গাছ জন্মায়। না পাওয়া গেলে বাজার থেকে ভাল মানের অ্যালো ভেরা জেল কিনে আনলেও চলবে। তার সঙ্গে আরও কিছু কিছু জিনিস মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে অ্যালো ভেরা প্যাক। চুল পড়া, খুশকি, দু’মুখো চুল-সহ যাবতীয় সমস্যা নির্মূল হবে।
অ্যালো ভেরার সঙ্গে আর কী কী মিশিয়ে তৈরি করবেন এই প্যাক?
অ্যালো ভেরা জেল এবং ভিটামিন ই
চুলের সামগ্রিক দেখভালের জন্য সপ্তাহে এক দিন অ্যালো ভেরা জেলের সঙ্গে ভিটামিন ই মিশিয়ে চুলে মেখে নিন। মাথার ত্বক থেকে চুলের ডগা পর্যন্ত লাগিয়ে, এক ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। মসৃণ হবে চুল।
অ্যালোভেরা গাছ বাড়িতে না থাকলে, বাজার থেকে ভাল মানের অ্যালো ভেরা জেল কিনেও ব্যবহার করা যায়। ছবি- সংগৃহীত
অ্যালো ভেরা জেল, মধু ও অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার
শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা সব ঋতুতেই খুশকির সমস্যায় নাজেহাল হয়ে যাচ্ছেন? হাতের কাছেই সমাধান রয়েছে। অ্যালো ভেরা জেলের মধ্যে এক চা-চামচ মধু এবং এক টেবিল চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মেশান। ভাল করে মিশিয়ে মাথার ত্বকে মেখে রাখুন। চুলে মাখার প্রয়োজন নেই। ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালো ভেরা জেল, মধু এবং নারকেল তেল
এমনিতে মাথায় হাত দিলেই চুল পড়ে। তার উপর আবার ভিজে চুলে শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার মাখতে গিয়ে চুল পড়া যেন দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে, শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার লাগানো জরুরি। তবে রুক্ষ, ক্ষতিগ্রস্ত চুলে রাসায়নিক পণ্য যত কম ব্যবহার করবেন, ততই ভাল। এ ক্ষেত্রে টোটকা হল শ্যাম্পু করার আগে ৫ মিনিট কন্ডিশনার রেখে একেবারে চুল ধুয়ে ফেলা। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে কন্ডিশনার বানাতে পারলে আরও ভাল। তার জন্য লাগবে অ্যালো ভেরা জেল, মধু এবং নারকেল তেল। সব উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে মাথার ত্বকে এবং চুলে মেখে ফেলুন। আধ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে নিলেই হবে।