রেড়ির তেল মুখে মাখা যায়? ছবি: সংগৃহীত।
‘রেড়ির তেল’ বললে চিনতে অসুবিধা হতে পারে। তার চেয়ে ‘ক্যাস্টর অয়েল’ বলাই ভাল।
নারকেল, সর্ষে বা অলিভ অয়েলের চেয়ে ঘন, চটচটে এই তেল সাধারণত চুলেই মাখা হয়। কিন্তু রূপটান শিল্পীরা বলছেন, এই তেলটি ত্বকের জন্যও সমান উপকারী। ত্বকের রুক্ষ ভাব দূর করতে এবং তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে এটি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রেড়ির তেলের মধ্যে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড বলিরেখা দূর করার পাশাপাশি ত্বকের যে কোনও প্রকার সংক্রমণও রুখে দিতে পারে।
ক্যাস্টর অয়েল বা রেড়ির তেল ত্বকের আর কী কী উপকারে লাগে?
১) এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা বলিরেখা দূর করতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। ত্বকের গভীরে গিয়ে ত্বককে ভিতর থেকে আর্দ্র করে তোলে। চোখ, নাক এবং ঠোঁটের চারপাশের স্পর্শকাতর অংশগুলিতে বলিরেখা পড়ার প্রবণতা বেশি থাকে। তাই পুরো মুখে ক্যাস্টর অয়েল না মাখলেও নির্দিষ্ট এই অঞ্চলগুলিতে মাখা যেতে পারে।
২) এই তেলে রয়েছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান। যা ব্রণের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে প্রদাহনাশক উপাদানও। যার ফলে এই তেল ব্যবহারে জ্বালা, পোড়া, ফোলা ভাব কমতে পারে।
৩) ফাটা ঠোঁটের জন্য বিশেষ উপকারী তেলটি। লিপস্টিক ও লিপগ্লসে এই তেলের ব্যবহার রয়েছে। ঠোট ফাঁটার সমস্যায় এই তেলটিও ব্যবহার করতে পারেন, তবে সরাসরি না লাগিয়ে নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলেই ভাল।
কী ভাবে মুখে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করবেন?
সরাসরি ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহারের অসুবিধা হল, এটি ভীষণ ঘন ও চটচটে। তাই ‘ক্যারিয়ার অয়েল’-এ মিশিয়ে এটিকে মুখে লাগাতে পারেন। ক্যারিয়ার অয়েল হিসাবে নারকেল তেল, আমন্ড অয়েল বা অলিভ অয়েলের মধ্যে যে কোনও একটি বেছে নেওয়া যায়। তেল ব্যবহারের আগে ফেশওয়াশ দিয়ে মুখ ভাল করে পরিষ্কার করে নিতে হবে।