ফাটা ঠোঁটের যত্ন নেবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
প্রথমেই ফাটা ঠোঁটে জিভ বোলানো বন্ধ করতে হবে। কিন্তু, বারণ করলেই বা শুনছে কে!
হাতের কাছে পেট্রোলিয়াম জেলি না থাকলে ফাটা ঠোঁটের জ্বলুনি কমায় লালার প্রলেপ। শুষ্ক বাতাসে ঠোঁটে টান ধরাও কমে। কিন্তু, সে তো সাময়িক। তবে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে নিয়ম করে পেট্রোলিয়াম জেলি মাখেন। তা সত্ত্বেও ঠোঁটের পেলবতা ফিরছে না। স্নানের পর মুখে ময়েশ্চারাইজ়ার মাখলেও সুরাহা মিলছে না। রূপটান শিল্পীরা বলছেন, ঠোঁটের চামড়া খুব পাতলা হয়। আর্দ্রতার অভাবে ঠোঁটের চামড়া শুকিয়ে গেলে শুধু জেল বা জেলিতে কাজ হবে না। নিয়ম করে যত্ন নিতে হবে। কী ভাবে কী করতে হবে জেনে নিন।
১) ভাল মানের লিপ বাম:
পেট্রোলিয়াম জেলিতে কাজ না হলে লিপ বামের উপরেই ভরসা রাখতে হবে। এই ধরনের প্রসাধনী আলাদা করে ঠোঁটের জন্য তৈরি করা হয়। ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখতে, চামড়া নরম রাখতে সাহায্য করে এই প্রসাধনীটি। অতিবেগনি রশ্মি থেকে ঠোঁটকে রক্ষা করতে লিপ বামে আলাদা করে এসপিএফ-ও দেওয়া থাকে।
২) আর্দ্রতাই সম্বল:
বাইরে থেকে প্রসাধনী ব্যবহার করার পাশাপাশি ভিতর থেকে শরীর হাইড্রেটেড রাখার ব্যবস্থাও করতে হবে। তাতে ঠোঁটের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় থাকে। ফলে, ফাটা ঠোঁটের সমস্যা অনেকটাই বশে রাখা যায়।
৩) এক্সফোলিয়েট:
চিনি, মধু, নারকেল তেল, অলিভ অয়েলে দিয়ে তৈরি ঘরোয়া স্ক্রাব মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। সপ্তাহে অন্তত দু’-তিন দিন এক্সফোলিয়েট করলে ঠোঁটে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হবে। ঠোঁটে জেল্লাও থাকবে।