Govindas Daughter

ঋতুকালীন যন্ত্রণা মানসিক সমস্যা ছাড়া কিছু নয়! খাদ্যাভ্যাসকে বিঁধে বিতর্কে গোবিন্দ-কন্যা

“আমি জীবনের বেশির ভাগ সময়টা কাটিয়েছি চণ্ডীগঢ়ে এবং আমি এই ঋতুকালীন যন্ত্রণার কথা শুনেছি শুধু মাত্র মুম্বই ও দিল্লির মেয়েদের কাছে”, বললেন টিনা আহুজা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৩
Share:

২০১৫ সালে টিনা আহুজাকে দেখা গিয়েছিল ‘সেকেন্ড হ্য়ান্ড হাজ়ব্যান্ড’ নামে একটি ছবিতে। ছবি: সংগৃহীত।

ঋতুকালীন যন্ত্রণা নাকি শুধু মাত্র মুম্বই, দিল্লির মতো বড় বড় শহরের মেয়েদের হয়ে থাকে। এই যন্ত্রণা আসলে মানসিক সমস্যা। এমনই মনে করেন টিনা আহুজা, অভিনেতা গোবিন্দের মেয়ে।

Advertisement

সম্প্রতি মা সুনীতা আহুজার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে যোগ দিয়েছিলেন গোবিন্দ-কন্যা। পেশায় টিনা একজন উদ্যোক্তা। ২০১৫ সালে অবশ্য তাঁকে দেখা গিয়েছিল ‘সেকেন্ড হ্য়ান্ড হাজ়ব্যান্ড’ নামে একটি ছবিতে। ২০২০ সালে ‘ড্রাইভিং মি ক্রেজ়ি’ নামকএকটি ওটিটি ছবিতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। ওই সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে নানা বিষয়ে আলোচনা করেন মা-মেয়ে। নিজের জীবন নিয়ে কথা বলতে গিয়েই টিনা বলে বসেন, “আমি জীবনের বেশির ভাগ সময়টা কাটিয়েছি চণ্ডীগঢ়ে এবং আমি এই ঋতুকালীন যন্ত্রণার কথা শুনেছি শুধু মাত্র মুম্বই ও দিল্লির মেয়েদের কাছে।” শুধু তাই নয়, টিনা দাবি করেন, এই যন্ত্রণা আসলে এক ধরনের মানসিক সমস্যা। একজনের থেকে অন্য জনের মধ্যে ছড়িয়ে যায়। টিনা বলেন, “অনেক সময়ই দেখা যায় কোনও একজন নিজের যন্ত্রণার কথা বলতে থাকলে অন্যজনও ওই বেদনা অনুভব করতে শুরু করেন। এটা মানসিক। পঞ্জাব বা অন্য ছোট শহরের মহিলারা অনুভবই করতে পারেন না, কবে তাঁদের ঋতুস্রাব শুরু হল, কবে ঋতুবন্ধ হয়ে গেল। কিছু যেন বুঝতেই পারেন না।”

এর পর টিনা দাবি করেন, আধুনিক মহিলাদের খাদ্যাভ্যাসও এই ধরনের যন্ত্রণার পিছনে অনেকাংশে দায়ী। তিনি বলেন, “আমার শরীর ভীষণ ভাবে ‘দেশি’। আমি এ ধরনের কোনও ব্যথা অনুভবই করি না। কিন্তু মুম্বইয়ে আমি সব সময় দেখি মেয়েরা এই ব্যথা নিয়েই কথা বলে চলেছে।” তা হলে কী করা উচিত রজঃস্বলা মহিলাদের? তার নিদানও রয়েছে টিনার কাছে। তাঁর দাবি, “ঘি খাও, খাদ্যাভ্যাস বদলাও, অকারণ ডায়েট না করে ভাল করে ঘুমোও, সব ব্যথা ভাল হয়ে যাবে। বেশির ভাগ মেয়েই সমস্যায় পড়ে তাদের খাদ্যাভ্যাস সংক্রান্ত সংস্কারের কারণে।”

Advertisement

এ সব বক্তব্যে মেয়ের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন সুনীতা। তবে দর্শকের উদ্দেশে রেখেছেন সতর্কবার্তাও। খাওয়াদাওয়ার বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। স্পষ্টই দাবি করেন, “পরে আবার আমাকে দোষারোপ করবেন না এই বলে যে, ‘গোবিন্দের স্ত্রী এক চামচ ঘি খেতে বলল, আর তাতেই আমার হৃদ্‌রোগ হয়ে গেল।‘”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement