(বাঁ দিকে) উদ্ধব ঠাকরে। একনাথ শিন্ডে (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
বিজেপির ‘হানাদারির’ শঙ্কায় কয়েক দিন আগে কংগ্রেস-শিবসেনা (উদ্ধব)-শরদ পওয়ারের ‘মহাবিকাশ অঘাড়ী’ জোট বিধায়কদের রিসর্টবন্দি করেছিল। শুক্রবার সকালে সেখান থেকে কড়া নিরাপত্তায় তাঁদের নিয়ে যাওয়া হল বিধানসভা ভবনে। ক্রস ভোটিংয়ের সম্ভাবনা ঘিরে জল্পনার মধ্যেই শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে মহারাষ্ট্রে শুরু হয়েছে বিধান পরিষদের ভোট।
মহারাষ্ট্র বিধান পরিষদের ‘বিধায়কদের জন্য সংরক্ষিত’ ১১টি আসনে এই দফায় ভোট হচ্ছে। মোট প্রার্থী ১২। শাসক বিজেপি-শিন্ডেসেনা-এনসিপি (অজিত পওয়ার)-এর ন’জন এবং বিরোধী জোটের তিন জন প্রার্থী রয়েছেন। ২৮৮ সদস্যের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বর্তমানে ২৭৪ জন বিধায়ক রয়েছেন। জেতার জন্য এক জন প্রার্থীকে ২৩টি ভোট পেতে হবে। অঙ্কের হিসাবে শাসক ‘মহাদ্যুতি’ ন’টি এবং বিরোধীরা দু’টিতে জিততে পারে। কিন্তু তৃতীয় আসনে ‘পেজ়েন্টস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স পার্টি’ (পিডব্লিউপি)-র প্রার্থীকে সমর্থন করছে মহাবিকাশ অঘাড়ী।
প্রসঙ্গত, বিধানসভার মতোই বিধান পরিষদেও ‘নির্বাচিত’ হতে হয়। কিন্তু সেখানে সাধারণ নাগরিকেরা ভোট দেন না। সেখানে ভোটাধিকার রয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রভুক্ত পেশার মানুষ, বিধায়ক এবং পঞ্চায়েত-পুরসভার মতো স্থানীয় প্রশাসনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গেও একটা সময় বিধান পরিষদ ছিল। সত্তরের দশকে যুক্তফ্রণ্টের সরকার ক্ষমতায় এসে তার অবলুপ্তি ঘটায়। সারা ভারতে এখনও ৬টি রাজ্যে বিধান পরিষদ আছে। সেগুলি হল বিহার, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, কর্নাটক এবং মহারাষ্ট্র।