পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ফাইল চিত্র।
আর কোনও রাখঢাক নয়। ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে’ পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-কে সরাসরি টেলিফোনে আড়ি পাতার আইনি অধিকার দিল সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকার। এই ঘটনায় নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে পাক রাজনীতিতে।
পাক আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার বুধবার সে দেশের পার্লামেন্টকে জানান, ৮ জুলাই এক সরকারি নির্দেশনামায় তথ্যপ্রযুক্তি এবং যোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত পরিবর্তন আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর আশ্বাসবাণী, ‘‘যে এই আইনের অপব্যবহার করবে, তাকে শাস্তি পেতে হবে। শুধুমাত্র অপরাধী ও সন্ত্রাসবাদীদের উপর নজরদারিতেই আইনটি সীমাবদ্ধ থাকবে। এতে জনগণের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন যাতে না হয়, সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করবে।’’
যদিও বিতর্ক তাতে থামছে না। সে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এই আইনের প্রতিবাদে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। পিটিআই নেতা ওমর আইয়ুবের অভিযোগ, পাক সরকার সামরিক গুপ্তচর সংস্থাকে বিরোধীদের উপর নজরদারির কাজে ব্যবহার করতে চাইছে। সাম্প্রতিক অতীতে ভারতে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ইজ়রায়েলি সংস্থা পেগাসাসের প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিরোধীদের উপর নজরদারির অভিযোগ উঠেছে।