—প্রতীকী ছবি।
বাইক চুরির অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। রাতে পুলিশের লকআপে রাখা হয়েছিল। সেখানেই আত্মহত্যা করলেন ওই অভিযুক্ত। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। এই ঘটনার জেরে দায়িত্বে থাকা চার পুলিশকর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে খবর।
ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়া জেলার পান্ধনাতে। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে পান্ধনার পুলিশ এক জন ৩২ বছর বয়সি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল। সাইকেল চুরির অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে খবর। রাতে লকআপে থাকাকালীনই কম্বল ছিঁড়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই ব্যক্তি। শুক্রবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে। নজরে আসতেই তড়িঘড়ি তাঁকে হেফাজত থেকে বার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খান্ডোয়ার ডিআইজি সিদ্ধার্থ বহুগুণা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে বাইক চুরির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। জেরার সময় তিনি ১৮টি বাইক চুরির কথা স্বীকার করেছিলেন। তাঁর কাছ থেকে তিনটি চোরাই বাইক উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মৃতের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন করেছিল। বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল। পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছেন পরিবারের সদস্যেরা।
মৃতের স্ত্রীর কথায়, ‘‘আমার স্বামীকে ২১ অগস্ট পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। তিন দিন ধরে তাঁকে লকআপের মধ্যে অত্যাচার করে পুলিশ। চুরির অভিযোগ স্বীকার করার পরেই মারধর করা হয়। মারধরের ফলে হেফাজতেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ নিজেরাই তাঁর দেহ ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যার কথা বলছে।’’
ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। শনিবার সকাল থেকেই থানার বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন অনেক মানুষ। মৃত ব্যক্তি এক জন আদিবাসী ছিলেন। স্থানীয় আদিবাসী সংগঠনও বিক্ষোভে সামিল হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে বাইরে র্যাফ নামানো হয়েছে, মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশবাহিনীও।