সোমবার নৈশভোজ-বৈঠকে খোশমেজাজে লালুপ্রসাদ যাদব, ডি রাজা, সীতারাম ইয়েচুরি, রাহুল গান্ধী, সনিয়া গান্ধী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (বাঁ দিক থেকে)। — ফাইল ছবি।
বেঙ্গালুরুর হোটেলে ২৬টি বিরোধী দলকে নিয়ে মহাজোটের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। হাজির রয়েছেন সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, লালুপ্রসাদ যাদব, নীতীশ কুমার, শরদ পওয়ারের মতো প্রথম সারির বিরোধী নেতৃত্ব। বেঙ্গালুরুর হোটেলে বেলা ১২টা থেকে বৈঠক শুরু হওয়ার কথা। বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠকও হতে পারে।
বৈঠকে রাজ্যে রাজ্যে আসনরফার ‘রোডম্যাপ’ তৈরির পাশাপাশি জোটের নাম, কাঠামো এবং ন্যূনতম অভিন্ন কর্মসূচিরও খসড়া নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। সনিয়া-রাহুল-সহ বিভিন্ন দলের নেতা ইতিমধ্যেই আসতে শুরু করেছেন।
সোমবার নৈশভোজ-বৈঠকে গরহাজির ছিলেন এনসিপি প্রধান শরদ। কিন্তু মঙ্গলবার সাতসকালেই বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে নামে পওয়ারের বিমান। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন কর্নাটকের মন্ত্রী এমবি পাটিল এবং লক্ষ্মী হেব্বালকর। এর পর পওয়ারের কনভয় সোজা চলে আসে রেসকোর্স রোডের বিলাসবহুল হোটেলে, যেখানে ২৬টি বিজেপি বিরোধীদলের বৈঠক রয়েছে। সোমবার দুপুর থেকে বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের বিমান একে একে বেঙ্গালুরুর মাটি ছোঁয়ার পরে সকলেই বার্তা দেন, যাবতীয় মতভেদ পাশে সরিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়ে লড়তে চাইছেন।
সূত্রের খবর, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে কী করা যায়, তা নিয়ে মঙ্গলবারের বৈঠকে আলোচনা হবে। বৈঠকে দুই থেকে তিনটি ছোট কমিটি তৈরি হতে পারে। নিয়মিত ২৬টি দলের শীর্ষনেতাদের বৈঠক সম্ভব নয় বলে প্রতি দিনের সমন্বয়ের জন্য একটি কমিটি কাজ করবে। রাজ্যস্তরে আসন সমঝোতা নিয়ে একটি কমিটি তৈরি হতে পারে। সকলেই মানছেন, একটি বৈঠকে সব ফয়সালা হবে না। আরও বৈঠক করতে হবে। সেই রাস্তাই তৈরি হবে মঙ্গলবারের বৈঠকে।
তবে বৈঠক শুরুর আগে কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উমেন চাণ্ডিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে যান সনিয়া, রাহুল এবং খড়্গে।