যমুনার জল ঢুকে পড়ল তাজমহল চত্বরে। ছবি: পিটিআই।
গত সপ্তাহেই লালকেল্লার দেওয়াল ছুঁয়েছিল যমুনা নদীর জল। সোমবার যমুনার জল ছুঁয়ে ফেলল তাজমহলের দেওয়াল। গত ৪৫ বছরে এই প্রথম বার তাজমহলের দেওয়াল ছুঁল যমুনার জল। শেষ বার ১৯৭৮ সালে নদীর জল ঢুকেছিল তাজমহল চত্বরে। প্রবল বৃষ্টি এবং যমুনার জলোচ্ছ্বাসে গত কয়েক দিন ধরেই বানভাসি দিল্লির বিভিন্ন এলাকা। যমুনার জলে ডুবে গিয়েছিল লালকেল্লার আশপাশ। প্লাবিত হয়েছিল দিল্লির সবচেয়ে বড় শ্মশান নিগমবোধ ঘাটও। এ বার সেই যমুনার জল ঢুকে পড়ল তাজমহল চত্বরে।
দশেরা ঘাট সংলগ্ন এলাকাও প্লাবিত হয়েছে। ইতিমাদ উদ দৌলার সমাধিস্থলও প্লাবিত। রামবাগ, মেহতাব বাগ, জোহরা বাগ, চিনা কা রৌজার মতো স্মৃতিস্তম্ভও জলমগ্ন হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের (আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া বা এএসআই) তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ওই স্মৃতিস্তম্ভগুলির কোনও ক্ষতি হয়নি। তাজমহলের বেসমেন্টেও জল ঢোকেনি এখনও।
তাজমহলে এএসআই-এর সংরক্ষণ সহকারী প্রিন্স বাজপেয়ী বলেছেন, ‘‘বন্যার প্রবল জলোচ্ছ্বাসেও তাজমহলের মূল স্মৃতিসৌধের মধ্যে জল ঢুকতে পারবে না। কারণ সে ভাবেই বানানো হয়েছে। ১৯৭৮ সালে শেষ বার যমুনার জল ছুঁয়েছিল তাজমহলের পিছনের দেওয়াল।’’ ১৯৭৮ সালের বর্ষায় দিল্লিতে যমুনার জলস্তর ২০৭.৪৯ মিটার ছিল। গত সপ্তাহেই সেই নজির ভেঙে গিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় যমুনার জলস্তর ছুঁয়েছিল ২০৮.৬৬ মিটার।
আগরা, মথুরার নিচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, পুলিশ। যমুনা নদী তীরবর্তী এলাকার ৫০টি গ্রাম এবং ২০টি শহুরে এলাকা থেকে পাঁচশোরও বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। মথুরায় যমুনার জলস্তর ছুঁয়েছে ১৬৭.২৮ মিটার। আগরা এবং মথুরায় ৫০০ বিঘারও বেশি কৃষিজমি ডুবে গিয়েছে। মথুরায় প্লাবিত এলাকাগুলিতে পানীয় জলের হাহাকার দেখা গিয়েছে।