Gujarat Bridge Collapse

মাচ্ছু নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচিয়েছেন ৯০টি প্রাণ! বিপর্যয়ের ঘোর কাটছে না জিগনেশের

একা হাতে সেতু থেকে জলে পড়ে যাওয়া লোকজনকে উদ্ধার করছিলেন জিগনেশ। মোরবীতেই যুবকদের সেনাবাহিনীর জন্য প্রশিক্ষণ দেন তিনি। পরে জিগনেশের ছাত্ররাও ঝাঁপিয়ে পড়েন উদ্ধারকাজে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

গান্ধীনগর শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২২ ০৭:৩৮
Share:

জিগনেশদের তৎপরতায় উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই বেঁচেছে অনেক প্রাণ। ছবি: পিটিআই।

ভিড়ে ঠাসা সেতু নদীর উপর ভেঙে পড়েছে হুড়মুড়িয়ে, দেখেই ছুটে গিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিল তাঁর দলবল। মোরবীতে তখনও উদ্ধারকারী দল পৌঁছয়নি। একা হাতে সেতু থেকে জলে পড়ে যাওয়া লোকজনকে উদ্ধার করছিলেন জিগনেশ লালজিভাই। মোরবীতেই রয়েছে তাঁর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। যুবকদের সেনাবাহিনীর কাজের জন্য প্রশিক্ষণ দেন তিনি। জিগনেশের ছাত্ররাও ঝাঁপিয়ে পড়েন উদ্ধারকার্যে। তাঁদের তৎপরতায় উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই বেঁচেছে অনেক প্রাণ।

Advertisement

একটি সংবাদমাধ্যমে জিগনেশ বলেন, ‘‘আমি আমার ছাত্রদের বলেছিলাম সেতুর কাছে যেতে। যারা সাঁতার জানে, তারা জলে নেমে পড়েছিল। যারা জানে না, নদীর ধার থেকে তারা জলে দড়ি ফেলছিল, যাতে সেই দড়ি ধরে কেউ কেউ উঠে আসতে পারেন।’’

জিগনেশ জানিয়েছেন, তিনি এবং তাঁর ছাত্ররা মিলে জলে আটকে পড়া অন্তত আশি থেকে নব্বই জনের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। বিপর্যয়ের পর কেটে গিয়েছে একটা গোটা দিন। এখনও ঘোর কাটছে না তাঁর এবং তাঁর ছাত্রদের।

Advertisement

রবিবার রাতে চারশোর বেশি মানুষ নিয়ে মাচ্ছু নদীর উপর ভেঙে পড়ে সেতু। এই ঘটনায় অন্তত ১৪১ জনের মৃত্যু হয়েছ। আহত আরও অনেকে। জানা গিয়েছে, সেতুটি দীর্ঘ ৭ মাস বন্ধ রাখা হয়েছিল। তাতে সংস্কারের কাজ চলছিল। কিছু দিন আগেই সেতুটি নতুন করে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। তার ৬ দিনের মাথায় এই বিপত্তি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement