Gujarat Bridge Collapse

আচমকাই ছেড়ে গেল হাত, বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝুলন্ত সেতু দেখতে এসে অনাথ চার বছরের জিয়াংশ

রবিবার বাবা, মায়ের সঙ্গে ঝুলন্ত সেতু দেখতে গিয়েছিল চার বছরের শিশু। মাচ্ছু নদীতে ১৪১ জনের সঙ্গে ডুবে মৃত্যু হয়েছে জিয়াংশের বাবা-মায়েরও। মারা গিয়েছেন কাকিমা। বেঁচেছেন শুধু জিয়াংশের এক কাকা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

আমদাবাদ শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২২ ১৮:৪২
Share:

মাচ্ছু নদীতে ১৪১ জনের সঙ্গে ডুবে মৃত্যু হয়েছে জিয়াংশের বাবা-মায়েরও। — ফাইল ছবি।

আরও অনেকের মতো জিয়াংশও গিয়েছিল। বহু দিন পর জনসাধারণের জন্য খুলে গিয়েছিল গুজরাতের মোরবীর ঝুলন্ত সেতু। সেই সেতু দেখতে গিয়েছিল জিয়াংশ। বাবা-মায়ের হাত ধরে। সেতু ভেঙে যাওয়ার সময় বাবা-মায়ের হাতটাও ছেড়ে যায়। আর ধরা হয়নি সেই হাত। আর কোনও দিন ধরতেও পারবে না চার বছরের শিশুটি। মাচ্ছু নদীতে ১৪১ জনের সঙ্গে ডুবে মৃত্যু হয়েছে জিয়াংশের বাবা-মায়েরও। মারা গিয়েছেন কাকিমা। বেঁচেছেন শুধু জিয়াংশের এক কাকা।

Advertisement

গুজরাতের হালভাদ টাউনে থাকে জিয়াংশ। তার বাবার নাম হার্দিক ফালদু, মা মিরালবেন। রবিবার বাবা, মায়ের সঙ্গে মোরবীতে ঝুলন্ত সেতু দেখতে গিয়েছিল চার বছরের শিশু। তুতো ভাই হর্ষ এবং তাঁর স্ত্রীকেও সঙ্গে নিয়েছিলেন হার্দিক।

সংস্কারের পর ২৬ অক্টোবর খুলে দেওয়া হয়েছিল মাচ্ছু নদীর উপরের সেতুটি। দুর্ঘটনার সময় ব্রিটিশ আমলে তৈরি ঝুলন্ত সেতুর উপর দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রায় ৫০০ জন। ছটপুজো উপলক্ষে বেড়েছিল জমায়েত।রবিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪২ মিনিট নাগাদ ভেঙে পড়ে সেতুটি। তলিয়ে যান কয়েকশো মানুষ। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন হার্দিকরা। ঘটনাস্থলেই মারা যান হার্দিক, মিরালবেন আর হর্ষের স্ত্রী। বরাত জোরে বেঁচে যায় জিয়াংশ। তাকে উদ্ধার করে তীরে নিয়ে যাওয়া হয়। গুরুতর অসুস্থ হর্ষও। তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Advertisement

সোমবার হালভাদ টাউনে নিয়ে আসা হচ্ছে হার্দিক এবং মিরালের দেহ। শেষকৃত্য হবে তাঁদের নিজের শহরে। সে কারণে ছোট্ট শহর সোমবার সকাল থেকেই থমথমে। পালন করা হচ্ছে বনধ।

এখন পর্যন্ত মোরবীর ওই সেতু ভেঙে মারা গিয়েছেন ১৪১ জন। অসুস্থ বহু মানুষ। অভিযোগ, এই সেতু জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার আগে প্রশাসনের সম্মতি নেওয়া হয়নি। সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে কোনও ‘ফিটনেস সার্টিফিকেট’ও নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। শতাধিক মানুষের মৃত্যুর জন্য কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকেই দায়ী করছেন বহু মানুষ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement