প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট-ইউজির ২০২৪ সালের পরীক্ষা পুরোপুরি বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ সংক্রান্ত নির্দেশ ঘোষণা করতে গিয়ে বলেছে, ‘‘রেকর্ডে থাকা নথিগুলি প্রশ্নপত্রের পদ্ধতিগত ফাঁসের ইঙ্গিত দেয় না।’’
তবে সেই সঙ্গেই গত ৫ মের নিট-ইউজি পরীক্ষায় কিছু অনিয়ম ঘটেছে বলেও মেনে নিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের মতে, পরীক্ষা পরিচালনায় সামগ্রিক ভাবে পদ্ধতিগত লঙ্ঘন হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে পাওয়া নথি বিশ্লেষণ করে তার প্রমাণিত হচ্ছে না। প্রসঙ্গত, মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই আগেই সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিল, গত ৫ মে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগে। সেই ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র পটনায় পাঠানো হয়েছিল। তবে সেই ফাঁস ‘স্থানীয় স্তরে’ হয়েছে দাবি করে, পরীক্ষা বাতিলের দাবির বিরোধিতা করেছিল সিবিআই।
প্রসঙ্গত, নিট-ইউজিতে প্রশ্নফাঁসকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে দেশ জুড়ে। ইতিমধ্যেই প্রশ্ন বিক্রির অভিযোগে কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। এই আবহে ২০২৪-এর নিট-ইউজি বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা হয়েছিল। আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)-র তরফে ৬ জুলাই থেকে কাউন্সেলিং শুরুর কথা থাকলেও শীর্ষ আদালতের নির্দেশে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শীর্ষ আদালত মঙ্গলবার জানিয়েছে, নতুন করে পরীক্ষা হলে পড়ুয়াদের এক বছর নষ্ট হবে। যা কোনও মতেই কাম্য নয়।
সোমবার এই মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের অস্বস্তি বাড়িয়ে আইআইটির বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট জানিয়েছিল, পদার্থবিদ্যার একটি প্রশ্নের ক্ষেত্রে দু’টির মধ্যে (২ এবং ৪ নম্বর বিকল্প) একটিতে ‘টিক’ দেওয়া পরীক্ষার্থীরা নম্বর পেলেও ৪ নম্বর বিকল্পটিই সঠিক উত্তর বলে বিবেচিত হওয়ার কথা। তাই যাঁরা ২ নম্বর বিকল্পটি বেছে নিয়েছেন, তাঁদের পূর্ণ নম্বর পাওয়ার কথা নয়।