প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। —ফাইল চিত্র।
ডাক্তারির স্নাতক স্তরে ভর্তির ক্ষেত্রে অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষায় (নিট) একটি প্রশ্নকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিকল্পের অবসান। একই প্রশ্নের দু’টি ‘সঠিক’ বিকল্প নিয়ে যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল মঙ্গলবার আইআইটি দিল্লির রিপোর্টের পর তা কাটল। সেই রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, কোন উত্তরটা সঠিক।
এ বারের নিটে প্রশ্নফাঁস-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সেই সঙ্গে উঠেছে নিট বাতিলের দাবি। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা হয়। সোমবার সেই মামলার শুনানিতে এক নিট পরীক্ষার্থীর আইনজীবীর সওয়ালে একটি প্রশ্ন নিয়ে বিভ্রান্তির খবর প্রকাশ্যে এসেছে। মামলাকারীর আইনজীবীর বক্তব্য, তাঁর মক্কেল ৭১১ নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু যে প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক, সেই প্রশ্নের ৪ নম্বর বিকল্প বা অপশনটিও ঠিক, আবার ২ নম্বর অপশনটিও ঠিক। এনসিইআরটির নতুন সংস্করণ অনুসারে প্রথমটি, অর্থাৎ ৪ নম্বর বিকল্পটি ঠিক, আর দ্বিতীয়টি অর্থাৎ ২ নম্বর বিকল্পটি পুরনো সংস্করণ অনুসারে সঠিক। বিভ্রান্তির কারণে মামলাকারী প্রশ্নটি এড়িয়ে যান। কিন্তু শীর্ষ আদালতে তিনি জানান, যাঁরা ২ নম্বর অপশনটি বেছে নিয়েছেন, তাঁদেরও নম্বর দেওয়া হয়েছে।
সোমবারের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “এনসিইআরটি-র নয়া সংস্করণ অনুসরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে ৪ নম্বর বিকল্পটিই সঠিক উত্তর বলে বিবেচিত হওয়ার কথা। তাই যাঁরা দ্বিতীয় বিকল্পটি বেছে নিয়েছেন, তাঁদের পূর্ণ নম্বর পাওয়ার কথা নয়।” পরীক্ষার আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)-র হয়ে আদালতে সওয়াল করেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি আদালতকে জানান, দু’টি সম্ভাব্য সঠিক উত্তর হওয়ায় পরীক্ষার্থীদের পুরো নম্বর দেওয়া হয়েছে।
তার পরই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এই প্রশ্নের বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য দিল্লি আইআইটিকে বিশেষজ্ঞ দল গঠন করতে বলেন। মঙ্গলবার সেই রিপোর্ট জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। সেই রিপোর্টকে সামনে রেখে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘বিশেষজ্ঞ কমিটি স্পষ্ট ভাবে মতামত দিয়ে জানিয়েছে, ওই প্রশ্নের একটি মাত্র বিকল্পই সঠিক, সেটা হল ৪ নম্বরটি।’’ এখন প্রশ্ন হল, যাঁরা ২ নম্বর বিকল্পটি বেছে নিয়েছিলেন, তাঁদের ‘গ্রেস’ নম্বর দেওয়া হয়েছিল। এ বার সেই নম্বর কী কাটা হবে? যদিও তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।