গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট বক্তৃতায় ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে ছ’লক্ষ ২১ হাজার কোটি টাকা করার কথা ঘোষণা করলেন। গত ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই অঙ্ক ছিল পাঁচ লক্ষ ৯৪ হাজার কোটি টাকা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বাজেটবৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘‘বাজেটের ১২.৯ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।’’
মোট বাজেট বরাদ্দের মধ্যে মূলধনী ব্যয়ের পরিমাণ গত বার ছিল এক লক্ষ ৬২ হাজার কোটি টাকা। এ বার তা বেড়ে হয়েছে এক লক্ষ ৭২ হাজার কোটি। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ক্ষেত্রে বরাদ্দ এক লক্ষ পাঁচ হাজার ৫১৮ কোটি। রাজনাথ জানিয়েছেন, বাড়তি বরাদ্দের বড় অংশই ব্যয় হবে দেশে যুদ্ধাস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম নির্মাণের কাজে। তিনি বলেন, ‘‘প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতা এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি আরও গতি পাবে।’’ অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদন এবং সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার আধুনিকীকরণের জন্য এই অর্থ ব্যয় করা হবে বলে জানান তিনি।
এর পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় সড়ক ও অন্যান্য পরিকাঠামো নির্মাণে বাজেটে ৬,৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বর্ডার রোডস অর্গানাইজ়েশন (বিআরও)-র বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যয় করা হবে। মূলত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি)-য় চিনা ফৌজের সঙ্গে পাল্লা দিতে গত কয়েক বছর ধরেই দ্রুত সড়ক ও অন্যান্য পরিকাঠামো নির্মাণে জোর দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এই পদক্ষেপ। প্রতিরক্ষা গবেষণায় বেসরকারি সংস্থা, প্রযুক্তিবিদ, পেশাদার এবং স্টার্ট আপ সংস্থার সহায়তার কথাও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এই খাতে বরাদ্দ ৫১৮ কোটি টাকা। তবে অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে মুদ্রাস্ফীতির কথা মাথায় রাখলে এই বৃদ্ধি খুব বেশি নয়। তা ছাড়া, মোট বাজেট বরাদ্দের মধ্যে প্রায় তিন লক্ষ কোটি টাকা খরচ হবে বেতন, পেনশন এবং অন্যান্য খাতে।