পুলিশ জানিয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই ঘুড়ির সুতোয় কড়া মাঞ্জা দেওয়া ছিল। তাতেই বিপত্তি। ছবি: প্রতীকী
গুজরাতে ঘুড়ির সুতোয় গলা কেটে মারা গেলেন ৬ জন। মৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু। আহত হয়েছেন ১৭৬ জন। সোমবার জানিয়েছে পুলিশ। উত্তরায়ণ উপলক্ষে সপ্তাহান্তে রাজ্য জুড়ে চলেছে ঘুড়ি ওড়ানোর উৎসব। তাতেই বিপত্তি।
পুলিশ জানিয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই ঘুড়ির সুতোয় কড়া মাঞ্জা দেওয়া ছিল। তা লেগে কেটে গিয়েছে গলা। অতিরিক্ত রক্তপাত হয়ে মারা গিয়েছেন ওই ৬ জন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ভাবনগরে বাবার সঙ্গে স্কুটারে চেপে যাচ্ছিল দু’বছরের কীর্তি। তার গলায় ঘুড়ির সুতো আটকে যায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসা চলাকালীন মারা যায় শিশুটি।
শনিবার বিসনগর শহরে মায়ের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল তিন বছরের কিসমত। ঘুড়ির সুতোয় তার গলা কেটে যায়। বিসনগর পুলিশ জানিয়েছে, হাসপাতালে নিয়ে গেলে মেয়েটিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘুড়ির সুতো লেগে মৃত তৃতীয় শিশু রাজকোটের বাসিন্দা। নাম ঋষভ বর্মা। আজি দাম থানার পুলিশ জানিয়েছে, বাবা-মায়ের সঙ্গে বাইকে চেপে ঘুড়ি কিনে ফিরছিল সে। ঘুড়ির সুতোয় গলা কেটে মৃত্যু হয়।
অন্য দিকে, বরোদা, কচ্ছ, গান্ধীনগর জেলায় ঘুড়ির সুতোয় গলা কেটে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই বাইকে চেপে যাচ্ছিলেন। গলায় ঘুড়ির সুতো আটকে যায়। গলা কেটে রক্তপাত হয়ে মৃত্যু তাঁদের। বরোদায় স্বামীজি যাদব (৩৫), কচ্ছ জেলার গান্ধীধামে নরেন্দ্র বাঘেলা (২০), গান্ধীনগরে অশ্বিন গাদভির মৃত্যু হয়েছে।
জরুরিকালীন অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার নথি বলছে, শনি এবং রবিবার গুজরাতে ঘুড়ির সুতো লেগে আহত ১৩০ জন। ঘুড়ি ওড়াতে গিয়েছে পড়ে জখম ৪৬ জন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৪ জানুয়ারি গুজরাতে সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ৮২০টি। ১৫ জানুয়ারি গুজরাতে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ৪৬১।