হরিদেবপুরে মহিলার রহস্যমৃত্য। পরিবারের অভিযোগ, অ্যাসিড খাওয়ানো হয়েছে তাঁকে। ছবি: প্রতীকী
এক মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য ঘনাচ্ছে দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুরে। মৃতের নাম লক্ষ্মীদেবী সাউ (৪৩)। তিনি দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুরের পূর্বপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। সোমবার ভোরে তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় স্থানীয় একটি ফ্ল্যাটের সামনে দেখতে পাওয়া যায়। স্থানীয়েরা তাঁকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। লক্ষ্মীদেবীর পরিবারের অভিযোগ, ওই ফ্ল্যাটের কয়েক জনের সঙ্গে বিবাদ ছিল তাঁর। তারই জেরে অ্যাসিড খাইয়ে তাঁরা লক্ষ্মীদেবীকে খুন করেছেন। এ নিয়ে হরিদেবপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। লক্ষ্মীদেবীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, পূর্বপাড়ায় গত ২০-২২ বছর ধরে একটি দোকান চালান লক্ষ্মী এবং তাঁর স্বামী বীরেন্দ্র সাউ। দোকানঘরটি ভেঙে গিয়েছে বলে নতুন করে সেটি তৈরি করছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, সেই কাজেই বাধা দিচ্ছিলেন সংলগ্ন ফ্ল্যাটের কয়েক জন বাসিন্দা। তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদ চলছিল দীর্ঘ দিন ধরে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ফ্ল্যাটের সঙ্গে একটি চুক্তিও হয়েছিল লক্ষ্মীদের। দোকান নিয়ে প্রমোটিংয়ের চেষ্টাও চলছিল। তাতে বচসা বাড়ে। বীরেন্দ্রের অভিযোগের ভিত্তিতে কুমার গুপ্ত, সমীর চক্রবর্তী এবং নকুলচন্দ্র শীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগে লক্ষ্মীর স্বামী জানিয়েছেন, অভিযুক্তেরা তাঁর স্ত্রীকে হুমকি দিতেন। মঙ্গলবার তিনজনকে আলিপুর আদালতে তুলবে পুলিশ।
সোমবার ভোরে ওই ফ্ল্যাটের সামনেই লক্ষ্মীদেবী অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন বলে তাঁর পরিবারের দাবি। প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে কয়েক জন তাঁকে সেখানে পড়ে থাকতে দেখেন। পরিবারের লোকজনকে তাঁরাই খবর দেন। এর পর লক্ষ্মীদেবীকে দ্রুত এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, অ্যাসিড খাওয়ানো হয়েছে লক্ষ্মীকে। তাঁর ছেলে জানিয়েছেন, রবিবার ভোররাতে বেরিয়েছিলেন তাঁর মা। কখন বেরিয়েছিলেন, তাঁরা জানেন না। তিনি ওই ফ্ল্যাটের মালিকের দিকেই আঙুল তুলেছেন। দাবি করেন, খুন করা হয়েছে লক্ষ্মীকে। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বোঝা যাবে।