New Parliament Building

নতুন সংসদ ভবনের অনুষ্ঠান বয়কটের সিদ্ধান্ত বিরোধীদের, দিল্লিতে পা রেখেই কটাক্ষ মোদীর

বিরোধীদের অভিযোগ, রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে গণতন্ত্রকে অপমান করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁদের দাবি, এর আগেও অগণতান্ত্রিক আচরণ করতে দেখা গিয়েছে মোদীকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২৩ ০৮:৪৫
Share:

বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ফিরে বিরোধী দলগুলিকে কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ না জানানোয় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। বুধবার পর্যন্ত ১৯টি বিরোধী দল এই অনুষ্ঠান বয়কট করার কথা জানিয়েছে। যা নিয়ে বিরোধীদের পরোক্ষে কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জাপান, পাপুয়া নিউগিনি এবং অস্ট্রেলিয়ায় ত্রিদেশীয় সফর শেষ করে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে পৌঁছেছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে মঙ্গলবার অনাবাসী ভারতীয়দের সভায় হাজির ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ফিরে বিরোধী দলগুলিকে কটাক্ষ করতে মোদী টেনে আনলেন সিডনির সভার প্রসঙ্গ।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী জানান, সেই অনুষ্ঠানে প্রায় ২০ হাজারের বেশি লোক জমায়েত হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজ়ও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে মোদীর মন্তব্য, শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীই নন, পাশাপাশি সেখানকার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী-সহ শাসক এবং বিরোধী দলের সকল সদস্যই দেশ এবং জাতির ঐক্যের জন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। মনে করা হচ্ছে, সিডনির সভার উল্লেখ করে কোথাও যেন দেশের বিরোধী দলগুলিকেই বিঁধলেন মোদী।

অতিমারি যখন মাথাচাড়া দিয়ে জেগে উঠেছিল, সেই সময় দেশের বাইরে কোভিড টিকা রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কেন্দ্র। তা নিয়েও মোদী সরকারকে বিদ্রুপ করতে পিছপা হননি বিরোধী দলগুলি। দিল্লিতে পৌঁছে সেই প্রসঙ্গ নিয়েও মন্তব্য করেছেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘সংকটমুহূর্তে কোভিডের টিকা রপ্তানি করার সময়েও আমাকে সকলে অনেকে প্রশ্ন করেছিলেন। মনে রাখবেন, এটা বুদ্ধের দেশ। এ দেশ গান্ধীর। শত্রুদের জন্যও আমরা চিন্তা করি।’’

Advertisement

২৮ মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করতে চলেছেন। কিন্তু সেই কর্মসূচিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। তা নিয়েই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল থেকে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ), কংগ্রেস, সিপিএম, আরজেডি, জেডিইউ এবং শিবসেনা (বালাসাহেব)-সহ মোট ১৯টি দল।

বিরোধীদের অভিযোগ, রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে গণতন্ত্রকে অপমান করেছেন মোদী। তাঁদের দাবি, এর আগেও অগণতান্ত্রিক আচরণ করতে দেখা গিয়েছে মোদীকে। সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা যখনই বিরোধী দলের কেউ বলতে গিয়েছেন, তখনই তাঁকে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। সংসদ থেকে ‘গণতন্ত্রের আত্মা শুষে নেওয়া হয়েছে’ বলে দাবি তাঁদের। তাই নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করা হলেও তার কোনও মূল্য নেই বলেই দাবি করেন বিরোধী দলের একাংশ।

ত্রিদেশীয় সফরের প্রথমে বৃহস্পতিবার রাতে জাপানে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন তিনি। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অস্ট্রেলিয়া সফর বাতিল করায় সেখানেই হয় কোয়াড সম্মেলন। এর পর প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউ গিনিতে। তার পর সেখান থেকেই অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে গিয়েছিলেন মোদী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement