নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন বয়কট করবে না ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের দল বিজেডি। ফাইল চিত্র।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পথ’ অনুসরণ করলেন না নবীন পট্টনায়ক। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর বিজু জনতা দল (বিজেডি) আগামী রবিবার (২৮ মে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছে। নবীনের এই পদক্ষেপের ফলে দিল্লির ক্ষমতা দখলের অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতায় আম আদমি পার্টি (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালের জোটের উদ্যোগও ধাক্কা খেল বলে মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান-সহ তিন নেতাকে নিয়ে কেজরীওয়াল নবান্নে এসে মমতার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এর পর যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে মমতা জানিয়েছিলেন সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনে দিল্লিতে ‘ক্ষমতা দখলের’ জন্য জারি করা বিতর্কিত অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স)-কে স্থায়ী রূপ দিতে মোদী সরকার সংসদে বিল আনলে তৃণমূল তার বিরোধিতা করবে।
মঙ্গলবার রাতেই তৃণমূল প্রথম রাজনৈতিক দল হিসাবে বয়কটের ঘোষণা করেছিল। নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন কর্মসূচিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে আমন্ত্রণ না জানানোর প্রতিবাদে বুধবার দুপুর পর্যন্ত আরও ১৮টি বিরোধী দল তৃণমূলকে ‘অনুসরণ’ করেছে। আম আদমি পার্টি (আপ), কংগ্রেস, আরজেডি, জেডিইউ, এনসিপির পাশাপাশি বামেরাও রয়েছে সেই তালিকায়। নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন কর্মসূচিতে রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ না জানানোর অভিযোগ তুলে ১৯টি বিরোধী দল যৌথ বিবৃতিতে লিখেছে, ‘‘সংসদ থেকে গণতন্ত্রের আত্মাকে শুষে নেওয়া হয়েছে। নতুন ভবনের কোনও অর্থ আমাদের কাছে নেই। এই পরিস্থিতিতে আমরা যৌথ ভাবে ঘোষণা করছি, নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের অনুষ্ঠান বয়কট করছি।’’
পাশাপাশি যৌত বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘‘সর্ব ক্ষেত্রে কর্তৃত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে। এবং এই বার্তা আমরা দেশের সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর।’’ কিন্তু সেই স্রোতে শামিল না হয়ে নবীন কিছুটা স্বস্তির বার্তা দিলেন বিজেপিকে।