অন্ধ্রপ্রদেশে দম্পতির দেহ উদ্ধার। আত্মহত্যা বলে সন্দেহ পুলিশের। — প্রতীকী চিত্র।
রূপান্তরকামী বন্ধুকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের তরুণ। সন্তানের সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পেরে আত্মঘাতী হলেন ওই তরুণের বাবা-মা। ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের নান্দিয়াল জেলায়। মৃত দম্পতির নাম সুব্বা রায়ডু (৪৫) এবং সরস্বতী রায়ডু (৩৮)। পুলিশ ওই মধ্যবয়স্ক দম্পতির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছিল, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নান্দিয়াল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক পি শ্রীনিবাস রেড্ডি জানিয়েছেন, গত তিন বছর ধরে স্থানীয় এক রূপান্তরকামী গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন মৃত দম্পতির সন্তান। এক রূপান্তরকামীর সঙ্গে সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। বিষয়টি পছন্দ করতেন না তাঁর বাবা-মা। সেই কারণে কয়েক মাস ধরেই ছেলের সঙ্গে অশান্তি চলছিল তাঁদের।
ওই তরুণের বাবা-মা ছেলের বিয়ে দেওয়ার জন্য পাত্রী দেখাশোনাও শুরু করে দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে রাজি ছিলেন না তরুণ। সম্প্রতি এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে ঠিক করেছিলেন বাবা-মা। তাতে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যায়। ওই বিবাহ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন তরুণ এবং রূপান্তরকামী বন্ধুর সঙ্গে থাকতে শুরু করে দেন। পুলিশ সূত্রে খবর, এই নিয়ে প্রায়শই পরিবারে অশান্তি লেগে থাকত। মাঝে এক বার ওই তরুণও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। এই পরিস্থিতির মধ্যে বৃহস্পতিবার ওই তরুণের বাবা-মায়ের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর পুলিশের অনুমান, পরিবারে চলতে থাকা অশান্তির কারণেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দম্পতি।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে পুলিশ জানতে পারে, স্থানীয় রূপান্তরকামী গোষ্ঠীর সদস্যদের থেকে কিছু টাকাও নিয়েছিলেন ওই তরুণ। সব মিলিয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকা তিনি ধার করেছিলেন। সেই ধার পরিশোধ করার জন্যও পরিবারের উপর চাপ আসছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সে ক্ষেত্রে আর্থিক চাপের বিষয়টিও তদন্তের আওতায় রাখছে পুলিশ।