দলিত মহিলার দেহ সৎকারের জন্য বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। ছবি: টুইটার।
দলিত মহিলার সৎকারে বাধা দিয়েছিলেন তথাকথিত উচ্চবর্ণের কিছু মানুষ। কবরস্থানের পথ আটকে রেখেছিলেন তাঁরা। দলিত মহিলার দেহ নিয়ে কিছুতেই সেখানে যেতে দেওয়া হচ্ছিল না পরিবারকে। অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে জট কাটল। দু’কিলোমিটার পথ মৃতদেহ বহন করল পুলিশই।
ঘটনাটি তামিলনাড়ুর শূলগিরি গ্রামের। শুক্রবার ৮৫ বছর বয়সি লক্ষুমাম্মার মৃত্যুর পর তাঁর দেহ সৎকারের জন্য উদ্যোগী হয় পরিবার। কিন্তু অভিযোগ, সমাজের তথাকথিত উচ্চবর্ণের কিছু মানুষ সৎকারে বাধা দেন। তাঁরা জানান, দলিত হওয়ার কারণে কবরস্থানে বৃদ্ধার দেহ নিয়ে যাওয়া যাবে না। লক্ষুমাম্মার দেহ কৃষ্ণমপালয়ম গ্রামের পথ ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেখানেই গ্রামবাসীরা তাঁদের বাধা দেন বলে অভিযোগ।
কবরস্থানের পথ আটকে গ্রামবাসীদের একাংশ বসে পড়ে। পাল্টা মৃতের পরিবারের পরিজনও জাতীয় সড়কে মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ দেখান। এর ফলে শূলগিরি জাতীয় সড়কে বেশ কিছু ক্ষণের যানজট সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ওই পুলিশের দলের নেতৃত্বে ছিলেন এসপি সরোজ কুমার ঠাকুর। তাঁরা বৃদ্ধার দেহ কাঁধে তুলে নেন নিজেরাই। প্রায় দু’কিলোমিটার পথ দেহটি বহন করে তাঁরা গন্তব্যে পৌঁছে দেন। সন্ধ্যায় দেহটি কবরস্থ করা হয়। পুলিশের এই ভূমিকা নানা মহলে প্রশংসিত হয়েছে।