প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
এ যেন দীপাবলির উপহার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর! আলোর উৎসবের প্রাক্কালেই প্রতিশ্রুতি মতো ১০ লক্ষ চাকরি দিতে ‘রোজগার মেলা’ শুরু করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সামনেই রয়েছে হিমাচল প্রদেশ ও গুজরাতে নির্বাচন। আর দেড় বছর বাদেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে কর্মসংস্থান নিয়ে মোদীর এ হেন উদ্যোগ রাজনৈতিক দিক থেকে আলাদা তাৎপর্য পেয়েছে। বিরোধীদের কটাক্ষে অন্তত তেমনই ইঙ্গিত।
শনিবার এই নিয়োগ অভিযান শুরু করা হবে বলে জানানো হয়েছে। যেখানে ৭৫ হাজারেরও বেশি মনোনীত প্রার্থীকে সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে। নতুন কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্যও রাখবেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘দেশের যুবকদের চাকরি দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী, তা পূরণে এটা উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।’’ চলতি বছরের জুন মাসে কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছিল যে, ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে দেড় বছরের মধ্যে ১০ লক্ষ নিয়োগ করার লক্ষ্য নিয়েছেন মোদী। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতেই এই ‘রোজগার মেলা’র উদ্যোগ।
ক্ষমতায় এলে বছরে ২ কোটি চাকরির বন্দোবস্ত করবেন বলে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদী। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি বলে বার বার কর্মসংস্থান নিয়ে মোদী সরকারের দিকে তির ছুড়েছে বিরোধী শিবির। বৃহস্পতিবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইটারে লিখেছেন, ‘‘নিজের দুই ধনী বন্ধুকে বিশ্বের সব থেকে ধনী করে তোলার অন্ধ প্রচেষ্টায় ভারতের কর্মসংস্থান তৈরির শিল্পকে খোঁড়া করে দিয়েছেন।’’ এর আগেও রাহুল-সহ বিরোধী নেতারা কর্মসংস্থান নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন। বেকারত্বের হার নিয়ে মোদী সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছেন তাঁরা।
সামনে গুজরাত, হিমাচলের নির্বাচন রয়েছে। দেড় বছর বাদেই লোকসভা নির্বাচন। ২০২৪ সালের আগে কর্মসংস্থান নিয়ে নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতেই ‘রোজগার মেলা’ করার উদ্যোগ নিয়েছে মোদী সরকার, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের।